সিরাজুল ইসলাম আপন, ক্রাইম রিপোর্টার (পাবনা): পাবনার ভাঙ্গুড়ায় বান্ধবীর সাথে গোপনে দেখা করতে এসে নোয়াখালীর এক ব্যক্তির রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। মৃত ব্যক্তি নোয়াখালী জেলার হাতিয়া থানার বুড়িরচর গ্রামের মৃত বশির উদ্দীনের ছেলে একরাম হোসেন (৫০)। ঘটনাটি ঘটেছে ভাঙ্গুড়া পৌর সদরের ৩ নং ওয়ার্ড মৃত আব্দুর রাজ্জাকের স্ত্রী ভাঙ্গুড়া উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের নেত্রী মোছা. পান্না বেগম (৪৮) এর বাসায়। তিনি ৩ সন্তানের জননী।
জানা যায়, নোয়াখালী জেলার মো. একরাম হোসেন ও পাবনা জেলার বর্তমান ভাঙ্গুড়া উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোছা. পান্না বেগম দুজন দুজনার ১৯৯৩ সালের কলেজ জীবনের পরিচিত। কিন্তু মহিলা নেত্রীর স্বামীর মৃত্যুর পর থেকে তাদের সম্পর্ক হয়ে ওঠে আরো গভীর। এই গভীর সম্পর্কের টানে নোয়াখালী হতে ভাঙ্গুড়ায় বান্ধবীকে তার বাসায় দেখতে আসে। রাতে ঔ ব্যক্তি যৌন উত্তেজনা ঔষধ পান করে। ভোর রাতে হঠাৎ তার বুকে বেথা শুরু হয়। এসময় ভাঙ্গুড়া সরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে মহিলা নেত্রী মোছা. পান্না বেগম বলেন, সে আমার বাবার দেশের মানুষ সেই সুত্রে আমরা একই কলেজে পরতাম তাই তার সাথে মাঝে মাঝে মোবাইল ফোনে কথা হত। শেষ রাতে সে আমার বাড়িতে আসে। হঠাৎ তার বুকে বেথা হয়। বাড়িতে আমি একা থাকায় তাকে খুব কষ্ট করে হাসপাতালে নিয়েছিলাম।
এ বিষয়ে ভাঙ্গুড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রাশিদুল ইসলাম বলেন, মহিলা আওয়ামী লীগের নেত্রী পান্নার বাসায় তদন্ত করতে গেলে তার কক্ষে টেবিলের উপর একটি গ্লাসে যৌন উত্তেজনা সিরাপ পাওয়া যায়। এ বিষয়ে নেত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য থানায় আনা হয় এবং জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।