ভাঙ্গুড়ায় মৃদু তাপদাহ জনজীবন অতিষ্ঠ

সিরাজুল ইসলাম আপন, পাবনা প্রতিনিধি: তীব্র গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা ভাঙ্গুড়ার সাধারণ মানুষের। টানা এক সপ্তাহের তীব্র তাপদাহে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। প্রচন্ড গরমে শিশু ও বৃদ্ধরা ভীষণ অস্বস্তিতে পড়েছেন। তবে খেটে খাওয়া মানুষ সবচেয়ে বেশি বিপদে পড়েছেন। বিশেষ করে তীব্র রোদের তাপের কারণে দিনমজুর, রিকশাচালকরা কাজ করতে পারছেন না। ফলে অনেককে অলস সময়ও পার করতে দেখা গেছে। আবার অনেকেই জীবন-জীবিকার তাগিদে প্রচন্ড তাপদাহ উপেক্ষা করে কাজে বেরিয়েছেন। উপজেলায় টানা তিনদিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। রবিবার (১০এপ্রিল) বেলা ৩টায় ভাঙ্গুড়ায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

গত এক সপ্তাহ ধরে ভাঙ্গুড়ার ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। মাঝে দু’এক দিন সামান্য বৃষ্টি হলেও চলতি মাসের শুরুর দিকেই এই অস্বস্তির গরম শুরু হয়েছে।

পাবনা ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, ভাঙ্গুড়া সহ পাবনা জেলার উপর দিয়ে মৃদু তাপদাহ বয়ে যাচ্ছে তবে মাঝারি তাপদাহ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সূর্যের প্রখরতার কারণে গরম বেশি অনুভূত হচ্ছে। দিনের ও রাতের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকবে। আগামী কয়েকদিন তাপমাত্রা ২১ থেকে ৩৮ ডিগ্রির মধ্যেই ওঠানামা করবে। তবে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্তও উঠে যেতে পারে।

এদিকে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে জীববৈচিত্রের ওপর। তাপদাহে রোজাদারদের কষ্টও বেড়েছে। রোজার মাস হওয়ায় একটু স্বস্তি পেতে ঠান্ডা শরবত, পানি, আইসক্রিম খেয়ে তৃষ্ণা মেটাতেও পারছে না মানুষ।

উপজেলার অষ্টমনিষার অটোবাইক চালক হাশেম আলী জানান, গত এক সপ্তাহে প্রচন্ড তাপদাহের কারণে যাত্রী কম পাচ্ছি। আর রোজার কারণে সন্ধ্যা ও রাতেও তেমন ভাড়া মিলছে না। দিনে গরম আর রাতে যাত্রী নেই। সংসার চালানোই কষ্টকর হয়ে পড়েছে।

কৃষক জব্বার আলী বলেন, একটু বৃষ্টির জন্য সবাই তাকাচ্ছেন আকাশের দিকে। কিন্তু বৃষ্টি ঝরানো মেঘের গনঘটা নেই। তীব্র গরমে কাজ করতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন কৃষক ও শ্রমজীবী মানুষ। কৃষিতে দেখা দিয়েছে সেচ সংকট। শুকিয়ে যাচ্ছে ধানের খেত।

Leave a Reply

Your email address will not be published.