সিরাজুল ইসলাম আপন, ভাঙ্গুড়া(পাবনা): পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলা ছাত্র দলের সদস্য সচিব লিখন সরকার বাহিনীর হামলায় ইউনিয়ন যুবদলের তিন নেতা আহত হয়েছে। শনিবার (১৯ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৯ টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের নৌবাড়িয়া ব্রিজের নিকট এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন, খানমরিচ ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ন আহবায়ক মো. রফিকুল ইসলাম (৩৫) খানমরিচ ইউনিয়ন যুব দলের সদস্য সচিব হাসেম মোল্লা (৩৫) ও মন্ডতোষ ইউনিয়ন যুবদলের আহবায়ক মো. মাসুদ রানা (৪৩)। আহতদের মধ্যে রফিকুল ও হাসেম মোল্লার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য রাতেই তাদেরকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে রেফার করেছে ও মাসুদ রানা উপজেলস্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি রয়েছে।
আহত যুব দলের নেতারা বলেন, বৃহস্পতিবার লিখনের ভাই সজিব আলী সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া উপজেলার নওগা হাটে গাড়িতে গরু নিয়ে যাওয়ার সময় ময়দানদিঘী বাজারে একটি টাকের সাথে ধাক্কা লাগে। এমসয় জৈনক স্থানিয় বিএনপির নেতারা সজিবকে মারধর করে ২ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন। এ ঘটনার জেরে উপজেলা ছাত্র দলের সদস্য সচিব লিখন শনিবার সকাল ১০ টার দিকে খান মরিচ ইউনিয়নের ময়দানদিঘী বাজারে রতন নামের এক বিএনপির নেতাকে মারার উদ্ধেশে যায়। বিষয়টি টের পেয়ে রতন পালিয়ে যায়। এ সময় ইউনিয়ন বিএনপির নেতাদের দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। বিষয়টি থানা পুলিশ কে জানালে ওসি মো. শফিকুল ইসলাম উভয় পক্ষকে থানায় বসে আপস মীমাংসা করার কথা বলেন। খানমরিচ ইউনিয়ন নেতারা থানায় আসার পথে নৌবাড়িয়া গ্রামে তাদের বাধা দেয় লিখন সরকারের বাহিনী। খবর পেয়ে উপজেলা যুব দলের যুগ্ন আহবায়ক মো. শাহিনুর রহমান শাহিন ও মন্ডতোষ ইউনিয়ন যুবদলের আহবায়ক মাসুদ রানা ঘটনাস্থলে যান। এ সময় লিখনের লোক জন খান মরিচ ইউনিয়নের নেতাদের উপর হামলা চালায় এতে তারা আহত হয়। উপজেলা যুবদলের যুগ্ন আহবায়ক শাহিনুর রহমান শাহিন ও মাসুদ রানা বাধা দিলে তারাও আহত হন।
এ বিষয়ে ভাঙ্গুড়া উপজেলা ছাত্র দলের সদস্য সচিব লিখন সরকার বলেন, আমাকে রাজনৈতিক হেয় করার জন্য প্রতিহিংসা মুলক আমার নামে অপপ্রচার করছে। আমি ঘটনা স্থলে ছিলাম না। খবর পেয়ে পরে উপস্থিত হয়ে উভয় পক্ষকে শান্ত করার চেষ্টা করেছি।
ভাঙ্গুড়া উপজেলা যুবদলের যুগ্ন আহবায়ক মো. শাহিনুর রহমান শাহিন বলেন, ছাত্র দলের সদস্য সচিব লিখন তার কেডার বাহীনি নিয়ে দলের সিনিয়র নেতাদের হামলা চালিয়ে আহত করেছে। এতে দলের ভাবমুর্তি নষ্ট হয়েছে।
এ বিষয়ে ভাঙ্গুড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে আহতদের হাসপাতালে দেখতে গিয়েছিলাম। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।