ভাঙ্গুড়ায় সরিষার বাম্পার ফলন, কৃষকের মুখে হাসি

সিরাজুল ইসলাম আপন, ভাঙ্গুড়া(পাবনা)প্রতিনিধি: ঘন কুয়াশার চাঁদর মুড়ি দিয়ে এসেছে শীত। শত বাঁধা উপেক্ষা করে কৃষকরা বুকভরা আশা নিয়ে এ বছর আবাদ করেছে সরিষা। পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার প্রত্যেকটি মাঠে গেলেই চোঁখে পড়ে অবারিত সরিষার ক্ষেত। যেদিকে দু’চোখ যায় শুধু পাকা হলুদের সমারোহ। কৃষক সরিষার আবাদ করেছে প্রাণ খুলে। অল্পদিনের আবাদে কৃষকদের বেশি একটা খরচ হয় না বলে তাঁরা সরিষার আবাদ করে থাকে। আমন ধান উঠার পর পর কৃষকেরা জমি চাষ করে অথবা অনেকেই ধানের জমিতে চাষ ছাড়াই ছিটিয়ে সরিষার আবাদ করে থাকে।

কথা হয় উপজেলার খানমরিচ গ্রামের কৃষক জব্বার আলীর সাথে। তিনি গত বছর আড়াই বিঘা জমিতে সরিষার আবাদ করেছিল। ফলন ভাল হয়েছিল তাই এ বছর প্রায় চার বিঘা জমিতে সে সরিষার আবাদ করেছে। পাক ধরে হলুদ বর্ণ ধারণ করেছে প্রত্যেকটি সরিষার গাছে। কোনো কোনো জমি থেকে সরিষার গাছ উঠাতেও শুরু করেছে। যদি আবহাওয়ার ভালো থাকে তাহলে কৃষকরা বুকভরা আশা বেঁধেছে নিজ নিজ চাহিদা মেটানোর পর বিক্রি করে অনেক লাভবান হবার।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ঘনো কুয়াশা ও প্রচন্ড শীত থাকলেও সরিষার ফলন ভাল হয়েছে। এছাড়া এ উপজেলার মাটি সরিষার আবাদের জন্য বিশেষ উপযোগী। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও ইউনিয়ন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সরিষা চাষীদের যথাযথ পরামর্শ ও সহযোগীতা করছেন মাঠে থেকে ।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার মোছা: শারমিন জাহান জানান, এ উপজেলায় এ বছর ৫ হাজার ৫৩০ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদ করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, এ বছর ৬টি ইউনিয়নে ৮ হাজার ১৮.৫ মে.টন সরিষা উৎপাদন হবে বলে আশা রাখছি। উপজেলার বিভিন্ন গ্রমে সরিষা উঠানো শুরু হয়েছে কোনো প্রাকৃতিক দূর্যোগ না হলে অল্প দিনের মধ্যেই সম্পুর্ণ সরিষা উঠানো শেষ হবে। কৃষি বিভাগ থেকে সর্বোক্ষণ পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.