ভারতে বিশ্বনবী (সাঃ) কে কটূক্তির প্রতিবাদে কেশবপুরে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল

শামীম আখতার (নিজস্ব প্রতিবেদক) বিশ্বনবী হযরত মোহাম্মাদ (সাঃ) কে নিয়ে ভারতীয় পুরোহিত রামগিরি মহারাজ কর্তৃক কটুক্তি এবং বিজিবি নেতা নিতেশ নারায়ণ রানে সমর্থনের প্রতিবাদে কেশবপুরে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত বুধবার (২ অক্টোবর) বিকেলে কেশবপুর উলামা পরিষদ ও সাধারণ ছাত্র-জনতার আয়োজনে উপজেলার পাবলিক ময়দানে ওই বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

 

অনুষ্ঠানে কেশবপুর উলামা পরিষদের সাবেক সভাপতি আলহাজ্ব হযরত মাওলানা আসয়াদুুজ্জামান সভাপতিত্ব করেন।

সমাবেশে উলামা পরিষদের সদস্য মাওলানা খালিদ সাইফুল্লার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন কেশবপুর উলামা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুফতি মোহাম্মাদ হাবিবুল্লাহ, কৃষিবিদ অধ্যাপক তাজাম্মুল ইসলাম দীপু, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম নেতা সম্রাট হোসেন, তাহমিদ আহমেদ, পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুজ্জামান চৌধুরী, মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক, মাওলানা আব্দুস সামাদ, মাওলানা সিরাজুল ইসলাম, মাওলানা আব্দুল মান্নান, হাফেজ মাওলানা আব্দুল আলিম, হাফেজ শফিকুল ইসলাম, মাওলানা আব্দুর রহমান, মাওলানা শহিদুল ইসলাম প্রমূখ।  

 

সবাবেশে বক্তারা বলেন, বিশ্বনবী হযরত মোহাম্মাদ (সাঃ) কে নিয়ে ভারতীয় পুরোহিত রামগিরি মহারাজ কটুক্তি করে অমার্জনীয় অপরাধ করেছেন এবং বিজেপি নেতা নিতেশ নারায়ণ নারে সমর্থন করায় সকল মুসলমানের কলিজায় আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানোর পাশাপাশি অনতিবিলম্বে তাদেরকে গ্রেপ্তারপূর্বক আইনের আওতায় এনে ফাঁসি দেওয়ার জন্য ভারত সরকারের প্রতি জোরালো দাবি জানান। তা-না হলে ভারতীয় সকল পণ্য আমার দেশের মুসলমানরা বর্জন করবে। কোন মুসলমান আর ভারতীয় পণ্য ব্যবহার করবেনা এমনকি বাংলাদেশের মাটিতে ভারতীয় দূতাবাস রাখতে দেওয়া হবে না। নবীপ্রেমিক তৌহিদী জনতা বিশ্বব্যাপি কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলবে বলে হুঁশিয়ারী দেন। এছাড়াও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার জন্য রাষ্ট্রীয়ভাবে নিন্দা জানানোর জন্য বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আহবান জানান বক্তারা। 

সমাবেশ চলাকালীন সময়ের মাঝ মুহূর্তে পাবলিক ময়দান থেকে একটি মিছিল বের করে পৌরশহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে সেখানেই গিয়ে শেষ করা হয়। মিছিলে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ মুসল্লীরা অংশগ্রহণ করেন। 

প্রতিবাদ মিছিল শেষে সভাপতির সমাপনী বক্তব্যের পর দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন কেশবপুর উলামা পরিষদের উপদেষ্টা মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক। 

Leave a Reply

Your email address will not be published.