মাগুরার সদরে স্ত্রীর সহযোগিতায় স্বামীকে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ

খন্দকার নজরুল ইসলাম মিলন, মাগুরা প্রতিনিধি : মাগুরা সদর উপজেলার ছয়চার গ্রামের মৃত জাহাঙ্গীর আলমের কন্যা সাদিয়ার সাথে ২ বছর পূর্বে বিয়ে হয় একই উপজেলার পৌরসভা ৩ নং ওয়ার্ডের ভিটাসাইর গ্রামের জুয়েল ইব্রাহিমের। জুয়েল মাগুরা জজ কোর্টে আইনজীবীর সহকারী হিসাবে কর্মরত আছেন।
মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি আহত জুয়েল ইব্রাহীম বলেন, গত বুধবার ১৭ এপ্রিল তার স্ত্রী সাদিয়া মোবাইল করে তাকে শশুর বাড়ি যেতে বলেন। সে অনুযায়ী কোর্টের দৈনন্দিন কার্যসম্পন্ন করে সন্ধ্যায় ছয়চার গ্রামের শ্বশুরবাড়িতে যায় জুয়েল। শশুর বাড়িতে গিয়ে রাতে ঘুমিয়ে পড়লে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী স্ত্রী, শাশুড়ি ও স্ত্রীর মেজো ভাই শিমুল, প্রতিবেশি মামা বিপ্লব, নানা মাজেদসহ ৭-৮ জন ব্যক্তি তার হাত-পা বেঁধে কিল ঘুষি মেরে ও পিটিয়ে হত্যা চেষ্টা করে। এসময় জ্ঞান হারিয়ে ফেললে তাকে মৃত ভেবে ফেলে রেখে দেয় হামলাকারীরা। জ্ঞান ফিরে সে দেখতে পাই অন্ধকার একটি ঘরের মধ্যে শুয়ে আছে, পরে সুযোগ বুঝে আহত অবস্থায় পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে সে। ঘটনাস্থল থেকে বের হয়ে এসে কাটাখালি নামক স্থানে মাগুরা- যশোর মহাসড়কের পাশে অবস্থিত মোবাইল টাওয়ারের কাছে এসে আবার জ্ঞান হারিয়ে ফেলে জুয়েল। এসময় স্থানীয় চাতালের শ্রমিকরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। পথিমধ্যে ভিটাসাইর এলাকায় পৌছালে তার স্বজনদের সহায়তায় মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে তাকে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
মাগুরা সদর থানার এস আই আরিফুজ্জামান জানান, বুধবার রাতে আমি ডিউটি অফিসার হিসাবে কর্মরত ছিলাম, রাত ১২ টার সময় দিকে ভিটাসাইর গ্রামের লালন শিকদার নামক এক ব্যক্তি তার ছেলে জুয়েল ইব্রাহিমকে ছয়চার গ্রামে তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন মারধর করছে মর্মে অভিযোগ করেন। সংবাদ পেয়ে পুলিশ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।
আহত জুয়েলের পিতা লালন শিকদার জানান, মোবাইল ফোনে জানতে পারি আমার ছেলেকে তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন মারধোর করছে। এই সংবাদ পেয়ে আমি তাৎক্ষণিক মাগুরা সদর থানায় ছুটে গিয়ে পুলিশের সহযোগিতায় রাত ১ টার সময়ে ছেলের শ্বশুর বাড়িতে পুলিশ নিয়ে গিয়ে ছেলের ব্যবহৃত মোবাইল, শরীরের পরিহিতো ছেড়া শার্ট ও স্যান্ডেল উদ্ধার করে নিয়ে আসি।
মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডাক্তার এসানুল হক মাসুম জানান, বুধবার দিবাগত গভীর রাতে জুয়েল নামে এক রুগী আহত অবস্থায় মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট  হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আসে। এ সময় তার নাক মুখ সহ শরীরে বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়। পরবর্তীতে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published.