খন্দকার নজরুল ইসলাম মিলন মাগুরা প্রতিনিধি : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মাগুরা জেলা শাখার আয়োজনে রুকন সম্মেলন ও ওয়ার্ড সভাপতি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার ০৪ অক্টোবর সকাল ৯ টা ও দুপুর ২ টার সময় শহরের নোমানী ময়দান মাগুরা জেলা অডিটোরিয়াম মিলনায়তনে মাগুরা জেলার সকল ওয়ার্ড পর্যায়ের সভাপতিদের উপস্থিতিতে অনূকুল পরিবেশে সংগঠন সম্প্রসারণ ও মজবুত করার লক্ষ্যে শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম। এ সময় মাগুরা জেলা বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ও কেন্দ্রীয় মজলিশের শুরা সদস্য সাবেক ছাত্র নেতা অধ্যাপক এম বি বাকেরের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও যশোর-কুষ্টিয়া অঞ্চলের পরিচালক মোঃ মোবারক হোসেন, যশোর-কুষ্টিয়া অঞ্চলের সহকারী পরিচালক ও জেলা বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমীর আব্দুল মতিন, কুষ্টিয়া জেলার বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমীর ও যশোর -কুষ্টিয়া অঞ্চলের টিম সদস্য অধ্যক্ষ খোন্দকার মহসিন আলী, নড়াইল জেলা বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আমীর এ্যডভোকেট আতাউর রহমান বাচ্চু প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ইনসাফ ভিত্তিক সমাজ ও কল্যানমূলক রাস্ট্র ব্যবস্থা কায়েম করতে চায়, সকল মানুষের কাছে জামায়াতে দাওয়াত পৌঁছে দিতে হবে। ওয়ার্ড সভাপতি ভাইকে ইসলামী মূল্যবোধ রক্ষায় ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন অটুট রাখতে হবে। ফ্যাসিবাদি ড্যামি সরকার শেখ হাসিনার শাসন আমলে কোন নির্বাচন হয়নি। নির্বাচনের নামে হয়েছে প্রহসন। এই সরকারের বিরুদ্ধে যারাই কথা বলেছে তাদের উপর নেমে এসেছে অত্যাচার জুলুম ও নির্যা৷তন। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে দমন করার জন্য তারা সর্বাত্বক চেষ্টা করেছে, কিন্তু তারা ব্যর্থ হয়েছে। এসময় তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী সরকারের তীব্র সমালোচনা করে বলেন, সীমাহীন লুটপাটের মাধ্যমে হাসিনা সরকার দেশের অর্থনীতিকে ধবংস করে দিয়েছে। জনগণের উপর জুলুম নির্যাতনসহ মতের বিপরীত সকল রাজনৈতিক নেতাকর্মীদেরকে খুন, গুমসহ নানান অত্যাচার নির্যাতন করেছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সেই ফ্যাসিবাদ জুলুম নির্যাতনকারী শেখ হাসিনা পালিয়েছেন। তিনি একা পালাননি গুষ্টি সহ পিছনের দরজা দিয়ে পালিয়েছেন। স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে স্বাস্থ্য মন্ত্রালয়ের রিপোর্ট অনুযায়ী ১৫৮১ জন শহীদ হয়েছেন৷ এর মধ্যে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী ও ছাত্রশিবিরের সদস্যরাও রয়েছে।