মৌসুমী ইরি আবাদের চারাগাছ কেটে ধ্বংস করেছে দূর্বৃত্তরা

মোঃ নয়ন মিয়া, দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধি-দিনাজপুর বিরামপুর উপজেলার চলতি ইরি আবাদের কচি চারাগাছ গুলো রাতের আঁধারে কেটে ধ্বংস করেছে দূর্বৃত্তের অভিযোগ উঠেছে। আজ শুক্রবার (২৭ মার্চ) বিরামপুর উপজেলার দেশমা এলাকায় চলতি ইরি আবাদের চারা রাতের আঁধারে কেটে ধ্বংস করেছে দূর্বৃত্তরা। সরজমিনে জানা যায়,উপজেলার দেশমা গ্রামের মৃত বছির উদ্দিনের ছেলে আইয়ুব আলী নিম্ন তফসিল ভুক্ত মহুগ্রাম মৌজার জেলএল নং ১৬৫, খতিয়ান নং ৬০, দাগ নং ৪৪০ শ্রেণি দলা ও জমির পরিমান ০.৫০ একর। সেই জমি দীর্ঘ ২০-২৫ বছর ধরে চাষাবাদ করে আসছিল ভুক্তভোগী আইয়ুব আলী। পক্ষান্তরে,আইয়ুব আলী জানান,৫নং বিনাঈল ইউনিয়নের উক্ত তফসিল বর্নিত দাগের জমি শান্তি পূর্ণ ভাবে ভোগ দখল করে আসছিলেন। কিন্তু বিবাদীগন তার আবাদের জমির ফসল নষ্ট করেছে বলে অভিযোগ এনেছেন। বিবাদী দেশমা গ্রামের মৃত আলহাজ্ব আব্দুর রহমানের ছেলে রেজাউল করিম আইয়ুব আলীর আবাদের ফসলের কচি চারা গাছ রাতের আঁধারে দূর্বৃত্তের দ্বারা সব কেটে জমিতে ফেলে দেয়। এবিষয়ে স্হানীয় জনসাধারণ নিকট জানতে চাইলে তারা জানান,উক্ত জমিটি ১৫ থেকে ১৮ বছর ধরে আইয়ুব আলী,ভোগ দখলসহ চাষাবাদ করে আসছিল। কিন্তু একই গ্রামের রেজাউল করিম রাজা মিয়া জবর দখলের চেষ্টা চালায়। এবিষয়ে ইরি আবাদের চারা নষ্ট করার মত তিনি ছাড়া আর অন্য কেউ নেই। এই আধারে ফসলের চারাগাছ দুর্বৃত্তের দ্বারা কেটে ফেলে দিয়েছে। ফলে জমিতে ফসল হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই বলে দেখা যায়। ইরি আমাদের ফসল নষ্ট হওয়ায় আইয়ুব আলী অসহায়ত্বের মধ্যে পড়েছে। তারা আরো জানান রাজামিয়া একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি। তাহার অনেক জমি জমা রয়েছে এই অসহায় আইয়ুব আলীর জমি কেড়ে নেওয়ার পায়তারা চালাচ্ছেন। ঘটনাক্রমে আরও জানা যায় যে উক্ত তফসিলভুক্ত সম্পত্তি পূর্বে মালিকানা ও দখলদার ছিল,তাহার নিকট থেকে আইয়ুব আলী প্রতিবছর টাকার বিনিময় বর্গাচাষে আবাদ করে আসছিলেন। কালক্রমে উক্ত জমিটির ভিপি হয়ে যায়,এমন সংবাদে রেজাউল করিম রাজা মিয়া সুকৌশলে সেই জমিটি অর্থের বিনিময় লীজ গ্রহণ করে থাকেন। আর সেই থেকে রেজাউল করিম রাজা মিয়া জমিটি জবরদখলের চেষ্টা চালায়। আইয়ুব আলী আরও জানান,জমি থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্যে তাকে বিভিন্ন প্রকার হুমকি দিয়ে থাকেন। প্রতি আবাদের মৌসুমে আবাদ করার কিছুদিন পর রাজা মিয়া আবাদ নষ্ট করে আসছেন। এবিষয়ে স্হানীয়রা জানান,রাজা মিয়া বরাবরের মত অব্যাহত ভাবে আবাদ নষ্ট করে আসছেন। এ বিষয়ে আইয়ুব আলী আরও জানান,ওয়ার্ড সদস্যগণ ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সাহায্যে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন বলে জানান। তিনি আরও জানান,রেজাউল করিম রাজা মিয়া একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি তিনি চেয়ারম্যান ও ওয়ার্ড সদস্য গণ কে অর্থের বিনিময়ে আতাত করে তার বিপক্ষে মতামত দিয়েছেন। এমনকি তাদের ইন্দনে মৌসুমী জমির আবাদ নষ্টের মূল কারণ রয়েছে বলে জানান। পক্ষান্তরে আইয়ুব আলী একজন ভূমিহীন। একজন ভুমিহীন ও বর্গাচাষী। তার পরিবারের সদস্য সংখ্যা ৫ জন।

জমিটি তার একমাত্র সহায় সম্বল হিসেবে একমাত্র ভরসা। আর অন্য কোন জমি নাই। জমিটি তার কাছ থেকে কেড়ে নিলে পরিবার নিয়ে পথে নামতে হবে। প্রকৃতপক্ষে আইয়ুব আলী একজন ভূমিহীন হওয়ায় তার নামেই উক্ত জমিটি বরাদ্দ দেওয়ার জোর দাবি জানান এলাকার জনসাধারণ। স্হানীয় ভাবে সরজমিনে সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে উক্ত জমিটি আইয়ুব আলীর নামে সরকারি ভাবে লীজ প্রদান করার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী ভুমি কমিশনারদের প্রতি জোরদাবি জানান। কৃষি আবাদি ফসল বারবার নষ্ট করায় রাজার বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করার জোর দাবি জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published.