রুমায় বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান ও শিক্ষার্থীদের অবস্থা দেখে ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ

শৈহ্লাচিং মারমা, রুমা প্রতিনিধি, বান্দরবানঃ বিদ্যালয় পাঠ কার্যক্রম শুরুর আগে প্রতিদিন জাতীয় সংগীত নিয়মিত পরিবেশন করা আবশ্যিক কাজ। কিন্তু অনর্গল জাতীয় সংগীত গাইতে পারল না- কোনো শিক্ষার্থী। বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান ও শিক্ষার্থীদের এঅবস্থা দেখে ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ করেন জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিষ্টেট শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন।

মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় রুমা উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে আয়োজিত আইন শৃঙ্খলা সার্বিক পরিস্থিতি বিষয়ে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি অসন্তোষের কথা জানিয়েছেন।

তিনি বলেন কোনো বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী জাতীয় সংগীত গাইতে পারে না, এটা অবাকের বিষয়। দেখতে -শুনতেও ভাল লাগছে না বিষয়টি । একজন শিক্ষাথীকে জাতীয় সংগীত জানতে হবে, জাতির পিতাকে জানতে হবে। সব শিক্ষার্থী এসব না জানার কোনো সুযোগ সেই বলে উল্লেখ করেন জেলা প্রশাসক।
উপজেলা চেয়ারম্যান উহ্লাচিং মারমা, সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ দিদারুল আলম (ভূমি), ভাইস চেয়ারম্যান থাংখামলিয়ান বম, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নুম্রাউ মারমাসহ সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রধানগন, জনপ্রতিনিধিগণ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক নেতৃবৃন্দ ও ব্যবসায়ীসহ ট্যুরিস্ট গাইড নেতারা উপস্থিত ছিলেন। বান্দরবান জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন বেলা ১১ টা দিকে রুমায় পৌঁছেন।

রুমা থানা পরিদর্শের পর রুমা উচ্চ বিদ্যালয় (জুনিয়র স্কুল নামে পরিচিত) পরিদর্শনে যান। সম্প্রতি বয়ে যাওয়া বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ বিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করেন। পরে শ্রেণি কক্ষে জাতীয় সংগীত গাইতে বলা হলে শিক্ষার্থীরা কেউ গাইতে পারেনি- জাতীয় সংগীত।

এব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সোমা চক্রবর্তী বলেন, শিক্ষার্থীরা হঠাৎ অতিথি দেখে সবাই লজ্জায় ও সংকোচে ভোগছিল।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও বিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্টরা জানায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সমর কান্তি দে ২০২১ সালে ২৫ সেপ্টেম্বর এক ছাত্রীকে ধর্ষেণের মামলায় গ্রেপ্তার হবার পর থেকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করে আসছেন সোমা চক্রবর্তী।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাবীব উল্লাহ বলেছেন বিদ্যালয়ের একাডেমিক কাজের পাশাপাশি জাতীয় সংগীত আবশ্যিক কাজ। কোনো শিক্ষার্থী জাতীয় সংগীত গাইতে না পারার ব্যর্থতার দায় ওই বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক। যেহেতু বিপিএড শিক্ষক নেই। সুতরাং জাতীয় সংগীত গাইতে যাতে পারদর্শী, শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে প্রধান শিক্ষককে জানিয়ে দেয়া হবে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published.