শার্শায় বিএনপি দ্বি-বাষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত: হাসান জহির সভাপতি লিটন সাধারন সম্পাদক

মোঃ আনিছুর রহমান,বেনাপোল প্রতিনিধিঃ. ব্যাপক উৎসাহ উদ্দিপনার মধ্যে দিয়ে দীর্ঘ ২২ বছর পর শার্শায় আনুষ্ঠানিক ভাবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদি দল ( বিএনপি)’র দ্বি-বার্ষিকী  সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার বিকাল ৪ টায় শার্শা ষ্টেডিয়ামে শার্শা উপজেলা বিএনপির আহবায়ক খায়রুজ্জামান মধুর সভাপতিত্বে  সম্মেলন ২০২৫ এর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত।

এর আগে বেলা সাড়ে তিনটার সময় বেলূন ও কবুতর উড়িয়ে অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করেন যশোর জেলা বিএনপির আহবায়ক অধ্যাপিকা নার্গিস বেগম ও আজকের প্রধান অতিথি অনিন্দ্য ইসলাম অমিত।

প্রধান অতিথী বলেন, গনতান্ত্রিক অবস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য যখন আমাদের ছাত্র দল যুবদল স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মীদের পরিবার পরিজন, স্কুল কলেজে শিক্ষার জন্য যাতায়াত করার কথা ছিল তাদের ক্যারিয়ার বিসর্জন দিয়ে তখন তাদের করতে হয়েছিল শ্বৈরাচার হাসিনার রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে তাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রাম করা। আজ মনে পড়ে আমাদের বেনাপোলে আলীম ও খালেককে তারা নির্মম ভাবে হত্যা করে। দীর্ঘ এক মাস চিকিৎসা থাকার পর তারা মৃত্যুর সাথে পঞ্জা লড়ে অবশেষে মৃত্যু বরন করেন। শ্বৈরাচার হাসিনার জন্য ৫ শতাধিক আমাদের যশোর এর নেতা কর্মীদের তাদের পরিবার পরিজনের জন্য রিক্সা চালিয়ে ভ্যান ইজিবাইক চালিয়ে কষ্ট করতে হয়েছিল । এদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছিল। আমাদের যশোর জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক সৈয়দ সাবেরুল ইসলাম সাবু, মফিকুল হাসান তৃপ্তি, আবুল হাসান জহির একটি কর্মসুচিতে যোগ দিতে যাওয়ার সময় তাদের রক্তাক্ত যখম করা হয়েছিল।তাদের জীবনের ঝুকি নিয়ে সেদিন উদ্ধার করে আমি ও আনছারুল হক রানা চিকিৎসার জন্য নিয়ে গিয়েছিলাম তখন প্রশাসনের সহযোগিতা আমরা পায়নি। আমরা কি চেয়েছিলাম আমরা চেয়েছিলাম ১৮ কোটি মানুষের জন্য গনতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে আনার সংগ্রাম। আপনারা গনতন্ত্রকে হরন করেছেন। আপনারা ভোটের অধিকার ছিনিয়ে নিয়েছিলেন। আজ সংস্কার এর কথা হচ্ছে। কিসের সংস্কর হচ্ছে কিসের মেরামত হচ্ছে । জনগনের ম্যান্ডেট যার উপর আছে সেই পারবে সংস্কার করতে। আজ  তত্বাবধায় বধায়ক সরকার সংস্কার এর কথা বলে নতুন ছাত্রদের নিয়ে দল গঠনের অপচেষ্টা করছে।

আজ ছাত্র ছাত্রীদের মাঝে বই বিতরন হয়নি। ফেব্রুয়ারী মাসের মধ্যেও তারা বই বিতরন করতে পারবে না। সংস্কারের কথা বলে ছাত্র ছাত্রীদের সাথে প্রতারণা করছে। নতুন বই বিতারন করতে কমপক্ষে মার্চ মাস লেগে যাবে। তিনি আরো বলেন, শেখ হাসিনা হিন্দুদের মন্দির এর কথা বলে ধর্মের কথা বলে তাদের নিয়ে রাজনীতি করতে চেয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত তা হয়নি।  হাসিনার প্রতারণা সকলে বুঝে ফেলেছিল। কারন আমরা সকলে বাঙালী। আমাদের ধর্মের জায়গা ধর্ম থাকবে। সকল ধর্ম বর্ন গোত্রের লোক একত্রে বসবাস করবে। কিন্তু ওই হাসিনা সেটাকে রাজনৈতিক পাঠশালা বানাতে চেয়েছিলেন।
তিনি আরো বলেন আমাদের তারেক রহমান এর ৩১ দফায় রেখেছে একটি পরিবারের সবথেকে বয়স্ক মা পাবেন সরকার থেকে সহযোগিতা, ছাত্ররা পাবে তাদের সঠিক সময় সঠিক উপকরন। যুবকরা পাবেন প্রশিক্ষনের মাধ্যেমে কর্মসংস্থান। কৃষকরা পাবেন তারা ন্যয্য মুল্যে কৃষি উপকরন। আমাদের সকল নেতা কর্মীর হত্যার প্রতিশোধ নিবো গনতান্ত্রিক রাষ্ট্র বিনির্মানের মধ্যে দিয়ে। এময় তিনি বলেন শার্শা ও বেনাপোলে কোন আলাদা হয়ে রাজনৈতিক কর্মকান্ডকে পরিচালনা করা যাবে না। এক হয়ে মধু ও তৃপ্তির নেতৃত্বে সকল রাজনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালনা হবে।

অনুষ্ঠানের উদ্বোধক অধ্যাপিকা নার্গিস বেগম বলেন, সকল রাজনৈকি কর্মকান্ড এক হয়ে করতে হবে। দলের মধ্যে কোন বিভেদ বিভাজন রাখা যাবে না। তিনি এসময় সম্মেলনে  নতুন নির্বাচিত সভাপতি আবুল হাসান জহির সাধারন সম্পাদক নুরুজ্জামান লিটন ও সাংগঠনিক সম্পাদক  আশরাফুল ইসলাম বাবুকে নির্বাচিত করে ১১ সদস্যর কমিটির নাম ঘোষনা করেন।

এসময় উপস্থিত ও বক্তব্য রাখেন বিএনপির জাতীয় কমিটির সহ  সাংগঠনিক সম্পাদক বাবু জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, য্গ্মু আহবায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকন, সাবেক কেন্দ্রিয় দফতার সম্পাদক মফিকুল হাসান তৃপ্তি, শার্শা উপজেলা বিএনপির আহবায়ক খায়রুজ্জামান মধু, সাবেক কেন্দ্রিয় যুবদলের সহসভাপতি নুরুজ্জামান লিটন,জেলা বিএনপি নেতা মিজানুর রহমান প্রমুখ।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চলনা করেন শার্শা উপজেলা বিএনপির সিনিয় যুগ্ম সাধারন সম্পাদক হাসান জহির।

Leave a Reply

Your email address will not be published.