সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের আলি চৌধুরী পাড়ার সরোয়ার আলম বাবুলের মেয়ে। সীতাকুণ্ডের স্বনামধন্য চট্টগ্রাম কেমিক্যাল কমপ্লেক্স উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির মেধাবী ছাত্রী। গত মঙ্গলবার ট্রাকের ধাক্কায় মারাত্মকভাবে আহত হয়ে তিন দিন ধরে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন
৯ বছর ধরে দাদী, খালা ও দিনমজুর বাবার কোলে পিঠে করে বড় হওয়া এই শিক্ষার্থী ।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকরা প্রাণপণ চেষ্টা করছেন তার জীবন ফিরিয়ে দিতে। তবে সানজিদা চিকিৎসকদের চেষ্টায় কোনরকম রেসপন্স করছেন না বলে জানান খালাতো ভাই তোফায়েল। অন্যদিকে মা হারা আদরের মেয়ে এই যাত্রায় বেঁচে যাবে এমন একটি সুখবরের প্রত্যাশায় প্রতিমুহূর্ত পার করছেন দিনমজুর সরোয়ার আলম বাবুল। তার আশা নিশ্চয়ই আল্লাহ এত তাড়াতাড়ি মেয়েটাকে তার কাছ থেকে নিয়ে যাবেন না।
তিনি বলেন, “আল্লাহর কাছে আর কিছু চাই না, আমার মা হারা মেয়েটাকে আল্লাহ ফিরিয়ে দিক।”
চট্টগ্রাম কেমিক্যাল কমপ্লেক্স উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সঞ্জীব দে বলেন,”সানজিদা আক্তারের মাথায় মারাত্মক আঘাত পাওয়ার কারণে শরীরের অনেক অঙ্গ কাজ করছে না। এই ঘটনায় আমরা গভীরভাবে শোকাহত। মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে আমাদের প্রার্থনা মেয়েটা সুস্থ হয়ে আমাদের মাঝে ফিরে আসুক। ইতিমধ্যে আমরা দোয়া মাহফিল এবং প্রত্যেককে যার যার ধর্ম মত প্রার্থনা করার অনুরোধ করেছি।
তবে এই দুর্ঘটনার জন্য সর্ব জনপদের দায়িত্ব জ্ঞানহীনতাকে দায়ী করে তিনি বলেন,”সড়ক সংস্কারের জন্য এক পাশের সড়কের দুই লাইনের গাড়ি চলাচল করলেও পর্যাপ্ত সর্তকতা না নেওয়ার কারণে বারবার মারাত্মক দুর্ঘটনা হচ্ছে। এই কারণেই এই পর্যন্ত অনেক প্রাণ অকালে ঝরে গেছে।
উল্লেখ্য গত মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) স্কুল বিদ্যালয়ের ক্লাস শেষে বাড়ি ফেরার পথে মহাসড়ক পার হতে গিয়ে ট্রাকের ধাক্কায় মারাত্মক আঘাত পান সানজিদা আক্তার। একই ঘটনায় নাজনীন সুলতানা নামের নবম শ্রেণীর অপর এক ছাত্রীও আহত হন। তবে তিনি সুস্থ আছেন।