সাংবাদিক মাহবুব উল ইসলাম আলমগীরের ১১ তম মৃত্যু বার্ষিকী পালিত

এমদাদুল হক দুলু, বদলগাছী (নওগাঁ) : নওগাঁর বদলগাছীর প্রয়াত বিশিষ্ট সাংবাদিক, শিক্ষক ও রাজনীতিবিদ মাহবুব উল ইসলাম আলমগীরের ১১তম মৃত্যু বার্ষিকী পালিত হয়েছে। তিনি বদলগাছী প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি ছিলেন। বিশিষ্ট এই সাংবাদিক জাতীয় দৈনিক সংবাদ ও রাজশাহীর সোনালী সংবাদ কাজ করতেন। এছাড়াও সামাজিক বিভিন্ন কর্মকান্ডে কর্মরত ছিলেন। তিনি উপজেলার বেগুণজোয়ার উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন।

৭এপ্রিল (শুক্রবার) মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষ্যে বিকেল সাড়ে ৪ টায় উপজেলার কাদিবাড়ি গ্রামে তাঁর নিজ বাসভবনে তার বিদেহী আত্মার শান্তি কমনায় এক স্মরণ সভা, আলোচনা সভা, দোয়া ও ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়। তাঁর ১১ তম মৃত্যু বার্ষিকী বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালিত হয়।

মরহুমের পারিবারিক উদ্যোগে স্মরণ সভায় বদলগাছী প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সানজাদ রয়েল সাগর এর সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন বদলগাছী প্রেস ক্লাবের সভাপতি মোঃ আবু সাঈদ।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বদলগাছী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আতিয়ার রহমান।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, থানার ভারপাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তদন্ত রায়হান হোসেন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি শহিদুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হান্নান, নওগাঁ প্রেস ক্লাবের আমার বার্তা’র জেলা প্রতিনিধি মোঃ রাসেল রানা, বদলগাছী প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি সহিদুল ইসলাম (ভোরের কাগজ), সাংবাদিক সংস্থা বদলগাছী’র সাধারন সম্পাদক শহীদুল ইসলাম, প্রতিদিনের সংবাদের উপজেলা প্রতিনিধি সৈকত সোবহান ও দৈনিক মানবকন্ঠের উপজেলা প্রতিনিধি মিঠু হাসান সহ বদলগাছী উপজেলার বিভিন্ন জাতীয় ও আঞ্চলিক পত্রিকার সাংবাদিকবৃন্দ।

অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বদলগাছী উপজেলার সরকারি-বেসরকারি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী, স্কুল-কলেজের শিক্ষক ও রাজনৈকিত বৃন্দ সহ এলাকার শত শত গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

স্মরণ সভায় বক্তারা বলেন, সাংবাদিক মাহবুব উল ইসলাম আলমগীর শুধু সাংবাদিক ছিলেন না তিনি একজন শিক্ষক, রাজনীতিবিদ ও সমাজ সেবক ছিলেন। তিনি ছিলেন বদলগাছী উপজেলার সকল সাংবাদিকের গুরু।

মাহবুব উল ইসলাম আলমগীর ১৯৮১ইং সালে প্রথম সাংবাদিকতা শুরু করেন। তিনি জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে উপজেলা সাধারন সম্পাদক ও সভাপতির দ্বায়িত্ব পালন করেছেন, ১৯৮৭ ইং সালে তিনি বেগুনজেয়ার উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা শুরু করেন।

স্মরণ সভা শেষে তাঁর বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। পরে সকলের মাঝে ইফতারি পরিবেশন করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published.