সিংড়ায় শিক্ষককে অপবাদ দিয়ে নির্যাতনের ঘটনায় থানায় অভিযোগ!

বেল্লাল হোসেন বাবু, নাটোর জেলা প্রতিনিধি : নাটোরের সিংড়ায় বিনগ্রাম রানীপুকুর বাজার এলাকায় অবস্থিত “বামিহাল এসএসসি (ভোকঃ) কারিগরি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ জালাল উদ্দীন কে নিয়োগ বানিজ্যর অপবাদ দিয়ে একটি বাজারে দোকান হতে টেনে হেচড়ে তুলে নিয়ে গিয়ে অপমানিত, লাঞ্চিত ও মারপিটের অভিযোগ উঠেছে।

ভুক্তভোগী ওই শিক্ষকের নাম মোঃ জালাল উদ্দীন, তিনি উপজেলার বিনগ্রাম রানীপুকুর বাজার এলাকায় অবস্থিত বামিহাল এসএসসি (ভোকঃ) কারিগরি বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ প্রাপ্ত হয়ে দায়িত্ব পালন করে আসতেছেন।

গত রবিবার (০৯ জুন) সন্ধ্যা আনুমানিক সাড়ে সাতটার দিকে বিনগ্রাম বড় বাজার এলাকায় এনির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিনগ্রাম বড় বাজার এলাকায় আঃ রশিদ এর ছিট কাপড়ের দোকানে ওই প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক মোঃ জালাল উদ্দীন বসে ছিলেন, এমতাবস্থায় কয়েকজন দলবদ্ধ হয়ে এসে দোকান হতে ওই শিক্ষক কে টেনে হিচড়ে বেড় করে রাস্তার উপরে নিয়ে গিয়ে তাকে মারপিট করতে লাগলে স্থানীয় লোকজন এসে বাঁধা প্রদান করেন ও ৯৯৯ এ কল দিয়ে পুলিশ কে খবর দিলে ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত হয়ে তাকে উদ্ধার করে। পরে ওই দিন রাতে শিক্ষক জালাল উদ্দীন সিংড়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,
গত ২০০৯ সালে ওই প্রতিষ্ঠান টি শিক্ষক শিক্ষিকারা সবাই মিলে জমি ক্রয় ও অবকাঠামো নির্মাণ কাজে অর্থ দিয়ে সহযোগীতা করে। পরে ১ নং বিবাদী মোঃ ফজলুর রহমান এর স্ত্রী মোছাঃ খালেদা খাতুন ও ওই প্রতিষ্ঠানে নির্মাণের কাজে কয়েক দফায় মোট ২ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা দেয়। পরে ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান টি এমপিও ভুক্ত হতে দেরি হওয়ায় বিবাদীরা প্রধান শিক্ষক ও স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে টাকা ফেরত চায়। পরে স্কুল কর্তৃপক্ষ বিবাদীদের কাছ হতে সময় চেয়ে নিলে সেই সময় আসার আগেই বিনগ্রাম বাজার এলাকায় পরিকল্পিত ভাবে ওই শিক্ষক কে নির্যাতন করা হয়।

নির্যাতনের ঘটনার একটি সিসিটিভি ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে এ নিয়ে এলাকায় সমালোচনার ঝড় ওঠে।

এ ঘটনায় ১। মোঃ ফজলুর রহমান (৪৫)পিতা আলহাজ্ব আসমত আলী খাঁ সহ কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিত শিক্ষক জালাল উদ্দীন।

স্থানীয় সূত্রে জানায় বাজারে প্রকাশ্যে ভাবে একজন শিক্ষক কে লাঞ্চিত অপমানিতসহ নির্যাতনের ঘটনায় এলাকার মান ক্ষুন্ন হয়েছে। আমরা প্রশাসনের নিকট সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানাই।

রামানন্দ খাজুরা ইউনিয়নের ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ওই প্রতিষ্ঠানের সদস্য মোঃ দেলোয়ার হোসেন দেলু বলেন, স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে টাকা ফেরত চাইলে কর্তৃপক্ষ সময় চেয়ে নেয় প্রথমে ১ লক্ষ ২০ হাজার ও পরে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা দিতে চায় স্কুল কর্তৃপক্ষ। সেই সময় আসার আগেই তাহারা ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে এধরণের নির্যাতন করেছে শিক্ষক কে।

৩ নং বিবাদী মোঃ মামুন হোসেন পিতা শাহাবুদ্দিন মুঠোফোনে জানায়, ওই শিক্ষক এর কাছ হতে টাকা ফেরত চাইলে অনেক বার সময় নেয় কিন্ত টাকা দেয়না এবং ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ আছে পরবর্তীতে তথ্য প্রমাণ দেওয়া যাবে। এবিষয়ে ইটালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আরিফুল ইসলাম আরিফের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।

সিংড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল কালাম বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.