শামীম আখতার (নিজস্ব প্রতিবেদক) স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডাঃ নাজমুল হোসেন বলেেন, এইচপিভি টিকার মাধ্যমে জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধ করা সম্ভব। তাই নিজে টিকা দিতে হবে এবং অন্যকে টিকা দিতে উৎসাহিত করতে হবে। সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য এই টিকার গুরুত্ব অপরিসীম।
গত (বৃহস্পাতিবার) খুলনা সরকারি করোনেশন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে বিভাগের জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) টিকা প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, প্রতিটি কিশোরী যাতে টিকার আওতায় আসে সেদিকে নজর দিতে হবে। টিকার মাধ্যমে আমাদের রাষ্ট্রের অর্থনীতির ওপর যে চাপ সৃষ্টি করবে তা যেন পুরোপুরি যুক্তযুক্ত হয়। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সচেতন থাকতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মোঃ হেলাল মাহমুদ শরীফ।
অনুষ্ঠানে খুলনা স্বাস্থ্য দপ্তরের বিভাগীয় পরিচালক ডাঃ মোঃ মনজুরুল মুরশিদ সভাপতিত্ব করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডাঃ কাজী আফজালুর রহমান, প্রকল্প পরিচালক ডাঃ মোঃ মাসুদুর রহমান, খুলনা পরিবার পরিকল্পনা দপ্তরের পরিচালক বিকাশ কুমার দাস, সিভিল সার্জন ডাঃ শেখ সফিকুল ইসলাম, মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ গৌতম কুমার পাল, আবু নাসের হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ শেখ আবু শাহীন ও সরকারি করোনেশন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক মোছাঃ মাকামী মাকছুদা প্রমূখ।
সকালে বিভাগীয় কমিশনার ও সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোঃ হেলাল মাহমুদ শরীফ খুলনা কলেজিয়েট গালর্স স্কুল এন্ড উইমেন্স কলেজে হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) টিকা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
প্রসঙ্গত, খুলনা বিভাগে প্রায় ৮ লাখ কিশোরীকে জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এছাড়া খুলনা জেলার ৯টি উপজেলায় ৭১ হাজার ৩’শত ২৮ কিশোরীকে এইচপিভি টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।