হার্টের রিং মুল্য এখন সিন্ডিকেটের দখলে

কালের সংবাদ ডেক্সঃ দেশের ২৭টি কোম্পানি হার্টের রিং আমদানি করে। এইসব সিন্ডিকেটের আমদানি করা রিংয়ের দাম আন্তর্জাতিক বাজারের চেয়ে দ্বিগুণেরও বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে বাংলাদেশে।

সিন্ডিকেটটি নিজেরা রিংয়ের বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে নিজের মত করে।

ভারতে বিক্রি হচ্ছে রিং সিনার্জি-প্রস্তুতকারক বোস্টন সায়েন্টিফিক লিমিটেডের রিং বাংলাদেশি টাকায় ৫৩ হাজার। আর তা বাংলাদেশে বিক্রয় করা হচ্ছে ১ লাখ ৪০ হাজার ৫০০ টাকায়।

প্রোমুস প্রিমিয়ার ভারতে বিক্রি হচ্ছে ১২ হাজার টাকা। বাংলাদেশে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৭৩ হাজার টাকা।

প্রোমুস এলিট-এটা ভারতে বিক্রি হচ্ছে ৪৫ হাজার টাকা। আর বাংলাদেশে নির্ধারণ করা হয়েছে ৯৩ হাজার ৫০০ টাকা।

রিসোলুট অনিক্স- প্রস্তুত কারক মেডট্রোনিক ভারতে বিক্রি হচ্ছে ৫৩ হাজার টাকায়। আর বাংলাদেশে দাম নির্ধারণ হয়েছে ১ লাখ ৪০ হাজার ৫০০ টাকা।

জিয়েন্স এক্সপেন্ডিশন-প্রস্তুতকারক এভোথ ভ্যাসকুলার ভারতে বিক্রি হচ্ছে ৫৩ হাজার টাকা। আর বাংলাদেশে এই রিংয়ের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৯৩ হাজার ৫০০ টাকা।

জিয়েন্স অ্যালপাইন-ভারতে বিক্রি হচ্ছে বাংলাদেশি টাকায় ৫৩ হাজার। আর এই রিং বাংলাদেশে দাম নির্ধারণ হয়েছে ১ লাখ ৪০ হাজার ৫০০ টাকা।

গত ১২ই ডিসেম্বর দেশে ব্যবহৃত ২৭টি কোম্পানির ৪৪ ব্র্যান্ডের হার্টের রিংয়ের দাম কমিয়েছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। ১৬ই ডিসেম্বর থেকে এ দাম কার্যকর হবে বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ইউসুফ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঔষধ ও কসমেটিকস আইন-২০২৩ এর ধারা ৩০ (১) অনুসারে হার্টের রিংয়ের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য পুনঃনির্ধারণ করা হলো। কার্ডিয়াক চিকিৎসা দেয়া সব হাসপাতালকে এ নির্দেশনা বাস্তবায়নে অনুরোধ করা হলো।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সব হাসপাতালে নোটিশ বোর্ডে হার্টের রিংয়ের তালিকা প্রদর্শন করতে হবে।
রিংয়ের খুচরা দাম সর্বোচ্চ ১ লাখ ৪০ হাজার ৫০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সর্বনিম্ন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১৪ হাজার টাকা।

ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মুখপাত্র ও উপ-পরিচালক (আইন কর্মকর্তা) মো. নুরুল আলম বলেন, কেউ যদি বেশি দামে হার্টের রিং বিক্রি করে তাহলে দু’বছরের জেল অথবা দু’লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। যদি প্রমাণ পাওয়া যায় কোনো প্রতিষ্ঠান সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে হার্টের রিং বিক্রি করছে তাহলে ওই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর।

Leave a Reply

Your email address will not be published.