হিংসুটে কখনোই কারো ভালো চায় না

মোহাম্মদ আককাস আলী: হিংসুটে কখনোই নেতা, কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিক হয়ে দেশ ও জাতির জন্য ভালো কিছু দিতে পারে না। তারা নিজের স্বার্থ হাসিলের জন্য মুখরোষক লেখালেখি করে এবং চাটুকারিতা দালালি করে সবার সাথে মিশে থাকে। তাদের সাথে যুক্ত হয় ভুয়া নেতারা। লোক দেখানো দেশপ্রেমিক সেজে নিজের স্বার্থের জন্য দেশের ক্ষতি করতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। বর্তমান সমাজে এসব ভুঁইফুর নেতা,সাংবাদিক, কবি ও লেখকদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। তাদেরকে প্রতিহত না করলে অন্ধকার সমাজে আলো ফিরে আসবে না। আলোর মুখ দেখতে পাবে না নতুন প্রজন্মরা। সম্প্রতি সময়ে তরুণ সাংবাদিক কবি ও লেখকদের নিয়ে ওইসব কথাগুলো বলেছিলেন বরেন্দ্র সাহিত্য-সংসস্কৃতি পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সাংবাদিক ও কবি মোহাম্মদ আককাস আলী। তিনি আরো বলেন,যারা গঠনমূলক সমালোচনা না করে মুখরোচক সমালোচনায় ব্যস্ত হয়ে পড়ে তারা আমজনতার জন্য কি দিতে পারে? নেতাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমজনতা এক সময় নেতাদের বটগাছ মনে করতেন, তাদের ভালোবাসতেন, জীবন দিয়ে তাদেরকে আগলে রাখতেন। এ প্রজন্মের নেতারা আমজনতাদের ব্যবহার করে গাড়ি বাড়ির মালিক হয় বিলাসিতাই জীবন যাপন করে। তিনি বলেন, তাদের মনে দেশাত্মবোধের চিহ্ন তো দূরের কথা লোভ লালোসায় এই সোনার দেশকে বিক্রি করতেও তারা দ্বিধাবোধ করবে না। এসব মহৎ পেশায় যুক্ত হয়েছে সুদখোর ঘুষখোর কালোবাজারি, হাইব্রিড ভুঁইফুল নেতা,  মাদক সেবী মাদক কারবারি।তাদের দাপটে সমাজের জ্ঞানীগুণী দেশপ্রেমিকেরা হারিয়ে যেতে বসেছে। কে ফিরিয়ে আনবে তাদের? তিনি সমাজের প্রকৃত দেশপ্রেমিক, প্রগতিশীল নেতা,সাংবাদিক,কবি ও সাহিত্যিকদের মুখ ফিরিয়ে না নেওয়ার অনুরোধ করেন। তিনি বলেন,আপনারা গঠনমূলক সমালোচনার মাধ্যমে ভালো কিছু সৃষ্টি করে আলোকিত সমাজ গড়ে তুলুন। আপনাদের লিখোনি ও সঠিক নেতৃত্বের মাধ্যমে এদেশের আমজনতা সোনার বাংলাকে যেন ভালোবাসতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.