আশরাফুল আবেদিন ঈশ্বরদী প্রতিনিধি।। ঈশ্বরদীর প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা ও সদ্য সাবেক জাতীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব নুরুজ্জামান বিশ্বাসের বাড়ির সামনে হেলমেট পরিহিত দুর্বৃত্তরা হামলা ও ভাঙচুর করেছে।
শুক্রবার রাত আনুমানিক পৌনে নয়টার দিকে ঈশ্বরদী শহরের কলেজ রোড আকবরের মোড়ে নুরুজ্জামান বিশ্বাসের বসতবাড়ির প্রধান ফটকের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
দুর্বৃত্তরা এমপি পরিবারের ব্যবহৃত একটি প্রাইভেটকারের সামনে গ্লাস, মোটরসাইকেল ভাংচুর করে। পরে তারা প্রধান ফটকের হামলার চেষ্টা করে চলে যায়। নুরুজ্জামান বিশ্বাস এসময় তাঁর বাড়ির ভেতরেই ছিলেন। তবে এতে কেউ আহত হয়নি। ঘটনার পরপরই পুলিশবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তারা গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে আওয়ামী লীগ সমর্থিত এক যুবককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে থানায় নিয়ে এসেছে।
হামলার খবর পেয়ে মুহূর্তেই ছুটে আসেন ঈশ্বরদী পৌরসভার মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইছাহক আলী মালিথা, যুবলীগ সভাপতি শিরহান শরীফ তমাল, পৌর ছাত্রলীগ সভাপতি আবির হাসান শৈশবসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ নেতারা। তারা এসময় জড়িতদের খুঁজে বের করে দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
ঈশ্বরদী থানার পুলিশ ও এমপি পরিবারের সদস্যরাদের দেওয়া তথ্যে জানা যায়, শুক্রবার রাত আনুমানিক পৌনে নয়টার দিকে দু’টি মোটরসাইকেলে হেলমেট পরিহিত চার যুবক সংসদ সদস্য নুরুজ্জামান বিশ্বাসের বাড়ির প্রধান গেটের সামনে এসে তার একটি প্রাইভেটকারের সামনের গ্লাস ও একটি মোটরসাইকেলে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। একপর্যায়ে দূর্বৃত্তরা তাদের হাতে থাকা একটি বিদেশি মদের বোতল গেটের সামনে ভেঙে পালিয়ে যায়। তাদের সবার মুখে হেলমেট ও মাস্ক ছিল।
ঘটনা সম্পর্কে পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য নুরুজ্জামান বিশ্বাস বলেন, প্রতিদিনের মতো শুক্রবার রাতে বাড়ির ভেতরে বৈঠকখানায় কিছু লোকজন নিয়ে কথা বলছিলাম। রাত আনুমানিক পৌনে নয়টার দিকে হঠাৎ রুমের বাইরে প্রধান গেটের সামনে ভাঙচুরের শব্দ শুনে বের হয়ে দেখি আমার একটি প্রাইভেট কার ও বাড়িতে আসা একজনের মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে কয়েক দুর্বৃত্তরা। দূর থেকে এসব দেখে আর বের হয়নি। কিন্তু বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়। তিনি আরও বলেন, ’আমি ব্যক্তিগত ভাবে শান্তিপ্রিয় মানুষ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধু আদর্শ বাস্তবায়নে ইতিপূর্বে অনেকবার আমার এই বাড়িতে হামলা চালানো হয়েছে। কিন্তু আমি কোনো প্রতিশোধ নেইনি। তবে আমি চাই আইনের মাধ্যমে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনায় প্রকৃত দোষীরা গ্রেপ্তার হোক।
ঈশ্বরদী শহর আমবাগান পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর হাসান বাসীর বলেন, হামলায় জড়িতদের বেশ কয়েকজনের নাম আমাদের হাতে এসেছে। তাদের সম্পর্কে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে দু’জনকে আমরা শনাক্তও করেছি। তদন্তের স্বার্থে জড়িতদের নাম পরিচয় এই মুহূর্তে বলা সম্ভব হচ্ছে না।