শামীম আখতার (নিজস্ব প্রতিবেদক) কেশবপুরে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি না হয় সেদিকটা খেয়াল রেখে বিভিন্ন মৎস্য ঘের পরিদর্শন করেছেম উপজেলা নির্বাহী অফিসার রেকসোনা খাতুন। গত মঙ্গলবার (৬ মে) বিকেলে উপজেলার টেপুর বিল, বিল গরালিয়া, বিল বলধালি বিলের বিভিন্ন মৎস্য ঘের পরিদর্শন করেন তিনি।
পরিদর্শনকালে ভবদহ এলাকায় মৎস্য ঘের স্থাপন নীতিমালা-২০১৯ এর নির্দেশনা অনুযায়ী মৎস্য ঘের মালিকদের ঘের স্থাপনের জন্য নির্দেশনা প্রদান এবং কোন ঘের মালিক স্যালোমেশিন, সেচ মোটর দিয়ে ভুগর্ভস্থ থেকে পানি উত্তোলনের মাধ্যমে ঘেরের পানি পূর্ণ না করে সে বিষয়েও নির্দেশনা প্রদান করেন। তারই পাশাপাশি সকল ঘের মালিকদের মৎস্য ঘের স্থাপন নীতিমালার সকল নির্দেশাবলী যথাযথভাবে প্রতিপালন করার জন্য অনুরোধ করেছেন।
এ বিষয়ে কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রেকসোনা খাতুন বলেন, সামনে বর্ষা মৌসুম। সেজন্যে এ এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হতে পারে। সেজন্য মৎস্য ঘেরে কোন প্রকার ভুগর্ভস্থ থেকে পানি উত্তোলন এবং সরকারি রাস্তার চেয়ে ঘেরের বেড়িবাঁধ উঁচু করা যাবে না। যদি কেউ সরকারি নীতিমালার বাহিরে মৎস্য ঘের স্থাপন বা পরিচালনা করে তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়াও সরকারি খাল-বিল, নদী-নালা দখল করে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা বন্ধ করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। মৎস্য ঘের স্থাপন নীতিমালার সকল নির্দেশাবলী বাস্তবায়নে উপজেলা প্রশাসন বদ্ধপরিকর।
পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার সুদীপ কুমার বিশ্বাস, সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রভাষক আলাউদ্দীন আলা, ইউপি সদস্য কামাল হোসেন প্রমূখ।