শামীম আখতার (নিজস্ব প্রতিবেদক) ঃ কেশবপুরে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে মৎস্য ঘেরের ভেড়ি কেটে দিয়ে সরকারি খালে মাছ বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এতে কমপক্ষে ১৪’লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ঘের মালিক মেহেদী হাসান বিশ্বাস বাদী হয়ে দুই জনের নাম উল্লেখ করে থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার পাথরঘাটা গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক শেখের ছেলে জিয়ার রহমান ও মৃত কাদের শেখের ছেলে আব্দুর রাজ্জাক শেখের পাথরঘাটা বিলে বিরোধ পূর্ন ১২ বিঘা জমির একটি মাছের ঘের ছিল।
গত দুই মাস পূর্বে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের উপস্থিতিতে সালিশ বৈঠকের মাধ্যমে এই ঘেরটি কেশবপুর পৌর এলাকার আলতাপোল গ্রামের মৃত মোশাররফ বিশ্বাসের ছেলে পৌর যুবদলের সদস্য সচিব মেহেদী হাসান বিশ্বাসের নামে লিখিত চুক্তিপত্র মূল্যে হস্তান্তর করে দেয়। চুক্তিপত্রে চলতি বছরের গত ২৯ মে ঘেরের সম্পূর্ণ দখল মেহেদী বিশ্বাসের অনুকূলে দেওয়ার কথা ছিল। সেই মোতাবেক বিবাদীরা ওই তারিখের পূর্বে ঘেরের সব মাছ ধরে নিয়ে চলে যায়। এ ঘেরের পাশে মেহেদী হাসান বিশ্বাস ৩৫ বিঘা জমির আরো একটি ঘেরে গত ৭/৮ বছর ধরে মাছ চাষ করে আসছেন। গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে জিয়ার ও রাজ্জাক ক্ষিপ্ত হয়ে মেহেদী হাসান বিশ্বাসের ওই মৎস্য ঘেরের ভেড়ি কেটে দেয়। এতে ওই ঘেরে থাকা কমপক্ষে দেড়শো গাড়ি মাছ সরকারি খালে চলে যায়।
এ কারণে ঘের মালিকের কমপক্ষে ১৪ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়। গত শুক্রবার সকালে ঘটনা জানতে পেরে একই গ্রামের অহেদ আলী সরদারের ছেলে আব্দুল মালেক ও তার ছেলে ইয়াসিন ঘেরের ভেড়ি বাধতে যায়। ওইসময় বিবাদী জিয়ার ও তার পিতা রাজ্জাক লোহার রড ও ধারালো দা নিয়ে তাদের ধাওয়া করলে তারা প্রাণের ভয়ে বাড়িতে চলে যায়। এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে ওইদিন বিকেলে মেহেদী হাসান বিশ্বাস বাদী হয়ে জিয়ার রহমান ও আব্দুর রাজ্জাককে আসামি করে কেশবপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
এ ব্যাপারে কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।