শামীম আখতার (নিজস্ব প্রতিবেদক): কেশবপুরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রতিষ্ঠাতা, মহান স্বাধীনতার ঘোষক, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তক, আধুনিক বাংলাদেশের স্থপতি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান (বীরউত্তম) এঁর ৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকী পালিত হয়েছে। গত শুক্রবার (৩০ মে) সকালে উপজেলা ও পৌর বিএনপি’র আয়োজনে দলীয় কার্যালয়ে দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে কেশবপুর পৌর বিএনপি’র সভাপতি ও সাবেক মেয়র আব্দুস সামাদ বিশ্বাসের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক।
পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শেখ শহীদুল ইসলাম শহীদ এর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আলাউদ্দীন আলা, মাসুদুজ্জামান মাসুদ, পৌর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি কুতুব উদ্দিন বিশ্বাস, সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুজ্জামান চৌধুরী, উপজেলা বিএনপি যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলমগীর সিদ্দিকী, প্রচার সম্পাদক ওয়াজেদ খান ডবলু, উপজেলা মহিলা দলের সভানেত্রী নুরুন্নাহার নুরী, উপজেলা যুবনেতা ও সাবেক ছাত্র নেতা আবুল গফুর, পৌর যুবদলের সদস্য সচিব মেহেদী বিশ্বাস, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব বাবুল রানা বাবু, উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আজিজুর রহমান আজিজ, সদস্য সচিব মোস্তাফিজুর রহমান, পৌর ছাত্রদলের সদস্য সচিব মনিরুল ইসলাম মনি।
বক্তারা বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান মহান স্বাধীনতার ঘোষক। তিনি মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার ও জেড ফোর্সের অধিনায়ক ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর উত্তম উপাধিতে ভূষিত করেন। তিনি বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তক, বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদী দর্শনের প্রবক্তা ও ক্ষণজন্মা পুরুষ। দেশের সব ক্রান্তিকাল উত্তরণে শহীদ জিয়া জাতির দিশারী ছিলেন। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তান সামরিক বাহিনী বাংলাদেশের জনগণের ওপর আক্রমণ করার পর তিনি পাকিস্তানি অধিনায়ককে বন্দি করে সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। ২৬ মার্চ চট্টগ্রাম কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন তিনি। স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে মুক্তিযুদ্ধ শুরু করেন অসীম বীরত্বে। সেদিন থেকেই দেশবাসী তাঁর অসাধারণ নেতৃত্বের পরিচয় পায়। দেশের সব সংকটে তিনি ত্রাণকর্তা হিসেবে বারবার অবতীর্ণ হয়েছেন।
বক্তারা আরও বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান সততা, ন্যায়-নীতির মধ্যে দিয়ে জাতীয়তাবাদী রাজনীতির উন্মেষ ঘটিয়ে জাতিকে উন্নয়ন, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির মধ্যে দিয়ে মানুষের মনে স্বস্তি এবং বহুদলীয় গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু চক্রান্তকারীরা এ দেশে আধিপত্য বিস্তারের জন্য দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র করে ১৯৮১ সালের ৩০ মে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে নির্মমভাবে হত্যা করে। জিয়াউর রহমান শাহাদাত বরণ করলেও তার আদর্শে উজ্জীবীত হয়ে এদেশের মানুষ স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র রক্ষায় আজও ঐক্যবদ্ধ।
আলোচনা সভা শেষে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া মাহফিলটি পরিচালনা করেন কেশবপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা খলিলুর রহমান।
এর আগে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এর শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে সূর্য উদয়ের প্রথম প্রহরে উপজেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা এবং কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়। পরিশেষে পবিত্র জুমার নামাজ শেষে কেশবপুর উপজেলা, পৌর ও কলেজ ছাত্রদলের পক্ষ থেকে দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি’র) প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ১৯৮১ সালের ৩০মে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে সেনাবাহিনীর কিছু বিপথগামী সদস্যের হাতে নিহত হন। তিনি মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার ও জেড ফোর্সের অধিনায়ক ছিলেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হুমায়ূন কবির সুমন, দপ্তর সম্পাদক ফারুক খান, ত্রাণ ও পূর্নবাসন বিষয়ক সম্পাদক আবু নাঈম, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল আজিজ, সাতবাড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা বাবু, ত্রিমোহিনী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আকরাম হোসেন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক শামসুল আলম বুলবুল, সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক হাফিজুর রহমান, টিপু সুলতান, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব ইকবাল হোসেনসহ উপজেলা ও পৌর বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দলসহ বিভিন্ন অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীবৃন্দ।