তছলিম উদ্দীন, সাপাহার (নওগাঁ) প্রতিনিধি: কোরবানির ঈদ ঘনিয়ে আসছে, আর মাত্র ৫,৬দিন বাকী এই ঈদকে কেন্দ্র করে জমে উঠেছে নওগাঁর সাপাহার উপজেলার সাপ্তাহিক পশুর হাটগুলো। উপজেলার কেন্দ্রীয় হাট ছাড়াও আশপাশের দিঘীরহাট ও উমইল হাটে উঠছে শত শত গরু, ছাগল, মহিষ ও ভেড়া।
শনিবার সাপাহার সদর হাট ঘুরে দেখা গেছে, দুপুর থেকেই বিভিন্ন এলাকা থেকে খামারি ও গৃহস্থরা তাদের লালন-পালন করা কোরবানিযোগ্য পশু নিয়ে হাটে আসতে শুরু করেন। হাটে ছিল পাইকার ও সাধারণ ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। গরুর পাশাপাশি ছাগলের চাহিদাও ছিল চোখে পড়ার মতো।
স্থানীয় খামারি নাসির উদ্দীন বলেন,“সারা বছর যতœ করে গরু লালন পালন করেছি কোরবানির হাটে বিক্রির জন্য। কিন্তু এ বছর গরু খাবার ও ওষুধের দাম অনেক বেড়েছে, সেই তুলনায় এখনো গরুর দাম আশানুরূপ না।”
অনেক খামারিরাও একই ধরনের অভিযোগ করেন, তারা বলছেন খরচের তুলনায় বাজারে কাঙ্ক্ষিত মূল্য মিলছে না তার পরেও কিছ্টুা লাভ করে পশু বিক্রি করা যাচ্ছে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. গোলাম রাব্বানি বলেন, “চলতি কোরবানি মৌসুমে সাপাহার উপজেলায় প্রায় ৫১ হাজার ৮শত ২১ টি কোরবানিযোগ্য পশু প্রস্তত রয়েছে, যার অধিকাংশই স্থানীয়ভাবে ও প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে উৎপাদিত, হাটে ভেটেরিনারি টিম মোতায়েন রয়েছে। তারা নিয়মিত গরুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করছেন।
হাটে আসা একাধিক ক্রেতা জানান, পশুর সংখ্যা ভালো দামও সহনশীল পর্যায়ে আছে। তবে ঈদের আরও কয়েক দিন বাকি থাকায় অনেকেই আশা করছেন, শেষ মুহূর্তে দাম আরও কিছুটা কমতে পারে।
মিজানুর রহমান নামের একজন ক্রেতা বলেন,“দাম সহনীয় পর্যায়ে আছে, তবে এখনো যাচাই-বাছাই করে ভালো পশু খুঁজছি। মনে হচ্ছে শেষ সময়ে একটু কম দামে ভালো পশু পাওয়া যাবে।”
বিক্রেতারা বলছেন, “ক্রেতা অনেক আসছেন, কিন্তু দাম নিয়ে আলোচনা বেশি, বিক্রি তুলনামূলক কম। তবে বিকেলের দিকে কেনাবেচা বাড়তে পারে বলে আশা করছি।”
হাটে প্রতারণা রোধে দুটি বেসরকারি ব্যাংকের উদ্যোগে জালনোট সনাক্তকরণ বুথ স্থাপন করা হয়েছে। ব্যাংক কর্মকর্তারা জানান, “এখন মানুষ অনেক সচেতন। এখনো পর্যন্ত কোনো জাল নোট শনাক্ত হয়নি।” সব মিলিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতার সমাগমে সাপাহার পশুর হাট বেশ জমজমাট হয়ে উঠেছে।