এমদাদুল হক দুলু বদলগাছী (নওগাঁ) প্রতিনিধিঃ নওগাঁর বদলগাছী ছোট যমুনা নদীর ধারে নির্মিত মডেল হাটের জায়গায় কেন্দ্রীয় হাট স্কুল মাঠ থেকে স্থানান্তর হলে হাটুরিয়াদের বেড়াজাল থেকে মুক্তি পাবে স্কুল ছাত্রছাত্রী। ইতো মধ্যেই উপজেলা নির্বহী কর্মকর্তা মাহবুব হাসান হাট স্থানান্তর নিয়ে সাংবাদিকসহ সুধিজনদের সঙ্গে পরামর্শ করে চলেছেন। স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, জনদুর্ভোগ ও স্কুল মাঠ থেকে হাট সরিয়ে নিয়ে ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষার মান ও খেলাধুলার পরিবেশ রক্ষায় ২০১০ সালে তৎকালীন সংসদ সদস্য ড. আকরাম হোসেন চৌধুরী বদলগাছী জেলা পরিষদ ডাকবাংলোর পূর্ব পাশের্^ নদীর চড় ভরাট করে মডেল হাট লাগানোর জায়গা নির্মান করেন। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ণ কর্মকর্তার অফিস সুত্রে জানা যায় ২০১০ সালে উপজেলা কেন্দ্রীয় বাজার সংস্কারের নামে প্রকল্প নিয়ে ৮ ইউনিয়নে বরাদ্ধকৃত ৪০ দিন কর্ম সূচির শ্রমিক দিয়ে ডাকবাংলোর পাশের্^ হাট স্থানান্তরের উদ্দেশ্যে ছোট যমুনা নদীর পশ্চিম তীর ভরাট কাজ শুরু করেন। পরবর্তীতে এই প্রকল্পে কয়েকদফা কাবিখা, টিআর প্রকল্পের চাল,গম, অর্থ বরাদ্ধ নিয়ে মোট সাড়ে ৩ কোটি টাকা ব্যয় করে নির্মান করা হয় হাটের জায়গা। ভরাট শেষে নাম ফলক দিয়ে এই জায়গার নাম করণ করা হয় বদলগাছী মডেল হাটের জায়গা। এখানে চড় ভরাট কাজ শুরুর পর থেকেই স্থানীয় কয়েক ব্যক্তি অভিযোগ করে আসতো তাদের মালিকানা জমি জবর দখল করা হচ্ছে। অভিযোগকারীরা স্থানীয় ভাবে প্রতিকার না পেয়ে তারা আদালতে মামলা করে। ২০১৪ সালের সংসদ নির্বাচনে ড. আকরাম হোসেন চৌধুরী ফেল করায় এখানে মডেল হাট লাগানোর স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যায়। পরবর্তীতে মালিকানা দাবিদার চড় ভরাটের কিছু অংশ দখল করে বিক্রি করে। সেই জায়গা জমিতে বাসা বাড়ি তৈরী করা হয়েছে। এলাকাবাসী জানান, এখনো এই স্থানে ১০/১১ বিঘা জমি রয়েছে যেখানে বিশাল আকৃতির সাপ্তাহিক হাট লাগানো সম্ভব। বাস্টান্ড বনিক সমিতির সভাপতি এস এম উজ্জল জানান বনিক সমিতিসহ এলাকাবাসীর সঙ্গে পরামর্শ করে নদীর চড়ে হাট স্থানান্তর হলে এলাকাবাসী উপকৃত হবে তবে তাঁর আগে ডাকবাংলো মোড় থেকে নদীর ব্রীজ মোড় পর্যন্ত রাস্তাটি মিনিমাম ৬০ ফুট আকারে প্রশ^স্ত করতে হবে। তাহলে যানবাহন চলাচল এবং কাঁচামাল বেচাকেনায় ট্রাক লোড আনলোড করা সহজ হবে। কোন যানজট সৃষ্টি হবে না। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুব হাসান ইতো মধ্যেই সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় হাট সরিয়ে নেওয়ার বিষয়টি আলোচনা করেন। জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুব হাসান বলেন হাট সরিয়ে নিয়ে ছাত্রছাত্রীদের খেলার মাঠ রক্ষা পাবে। শিক্ষার পরিবেশ বহাল থাকবে। উপজেলার সকল স্তরের লোকজনের সঙ্গে কথা বলতে হবে। জমির কাগজপত্র গুলো যাচাই করতে হবে। সব মিলিয়ে সকলের সম্মতি পেলে প্রয়োজনীয় প্রদক্ষেপ নেওয়া হবে।