হাকিকুল ইসলাম খোকন, প্রতিনিধি আমেরিকাঃ নিউইয়র্ক ডিস্ট্রিক্ট লায়ন্সের নেতৃত্বে এসেছেন দুই প্রবাসী বাংলাদেশী, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আসেফ বারী টুটুল ও শাহনেওয়াজ। গত ১৮ মে রবিবার লায়ন্স ডিস্ট্রিক্ট ২০—আর২ নির্বাচনে গভর্নর ও দ্বিতীয় ভাইস গর্ভনর পদে নির্বাচিত হয়েছেন আসেফ বারী টুটুল ও শাহ নেওয়াজ। প্রথম ভাইস গভর্নর নির্বাচিত হন লায়ন নেনা লোজাদা স্মিথ। নায়াগ্রা ফলস কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত নির্বাচন শেষে এ ফলাফল ঘোষণা করা হয়। বিজয়ী শাহনেওয়াজের নাম ঘোষণা করা হলে উপস্থিত বাংলাদেশী লায়নরা করতালি দিয়ে অভিনন্দন জানান। আসেফ বারীর স্ত্রী মুনমুন হাসিনা বারী ও শাহ নেওয়াজের সহধর্মিনী রানো নেওয়াজ মঞ্চে গিয়ে তাদের অভিনন্দন জানান। একে একে প্রবাসী বাংলাদেশী লায়ন্স ক্লাব সদস্যরা বাংলাদেশী ২ নেতাকে ফুল দিয়ে অভিনন্দন জানায়। অনুষ্ঠানটি পরিণত হয় বাংলাদেশীদের গৌরবের অনুষ্ঠানে।
গত ১৬ মে শুক্রবার নায়েগ্রা ফলসের কনভেনশন সেন্টারে ৩ দিনব্যাপী লায়ন্স সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে নিউইয়র্ক বাংলাদেশী আমেরিকান লায়ন্স ক্লাবের প্রায় ৪০ জন সদস্য অংশ নেন। নিউইয়র্ক ডিস্ট্রিক্ট লায়নদের কনভেনশনকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশী আমেরিকান লায়নদের ব্যাপক উপস্থিতিতে এক উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি করে। নায়াগ্রা ফলস্থ শেরাটন হোটেল বাংলাদেশীদের পদভারে ছিল মুখরিত। নিউইয়র্কের লায়ন ডিস্ট্রিক্ট ২০ আর২’—এর ৪৮টি ক্লাব এতে অংশ নেয়। শেরাটন হোটেল ও কনভেনশন সেন্টারজুড়ে আসেফ বারী টুটুল ও শাহনেওয়াজের বড় বড় নির্বাচনী পোস্টার ও বিশাল আকৃতির ছবি শোভা পায়।
লায়ন আসেফ বারী টুটুল, পিএমজেএফ দীর্ঘদিনের লায়ন সদস্য, যিনি তাঁর দৃঢ় নেতৃত্ব, সাংগঠনিক দক্ষতা এবং মানুষের পাশে থাকার অঙ্গীকারের জন্য বিশেষভাবে পরিচিত। তিনি বিভিন্ন সময় লায়ন্স ক্লাবের বিভিন্ন কার্যক্রমের নেতৃত্ব দিয়েছেন, যেমন ফুড ড্রাইভ, ব্লাড ডোনেশন ক্যাম্প, স্বাস্থ্য সচেতনতা কর্মসূচি, এবং তরুণ সমাজকে নেতৃত্বে উদ্বুদ্ধ করার প্রকল্প।
লায়ন নেনা লোজাদা স্মিথ, পিএমজেএফÑপ্রথম ভাইস গভর্নর হিসেবে তাঁর নির্বাচন একটি গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক বার্তা বহন করে। নারী নেতৃত্বকে সামনে এনে লায়ন্স ক্লাব আরও বৈচিত্র্যপূর্ণ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্ল্যাটফর্ম হয়ে উঠছে। তিনি নিউইয়র্কের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে সংযোগ স্থাপনের পাশাপাশি নারী ও শিশু উন্নয়নমূলক কার্যক্রমে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন।
লায়ন শাহনেওয়াজ, পিএমজেএফ— দ্বিতীয় ভাইস গভর্নর হিসেবে তাঁর যাত্রা প্রমাণ করে যে তরুণ নেতৃত্বও লায়ন্স ক্লাবে গভীর প্রভাব ফেলতে সক্ষম। তাঁর কার্যকরী দৃষ্টিভঙ্গি, আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার এবং জনসম্পৃক্ততার কৌশল ইতোমধ্যেই আলোচনায় এসেছে। তিনি বিশেষ করে পরিবেশ সচেতনতা এবং যুব সমাজকে সমাজসেবায় সম্পৃক্ত করতে কাজ করে চলেছেন।
এদিকে আজ মংগলবার ,২৭ মে নিউইয়র্ক বাংলাদেশী আমেরিকান লায়ন্স ক্লাবের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নায়াগ্রা ফলসেই নির্বাচনী প্রচারণা জমে উঠেছে। ডিস্ট্রিক্ট সম্মেলনে এসে প্রার্থীরা ভোট যুদ্ধে নেমে পড়েছেন। সম্মেলনে আগত প্রায় অর্ধ শতাধিক বাংলাদেশী লায়ন সদস্যদের কাছে তারা যাচ্ছেন। কুশল বিনিময় করছেন। প্রার্থীরা সাধারণ সদস্যদের সেবা দিতে ও আর্শীবাদ পেতে মরিয়া। চা কফি খাওয়ানোসহ সার্বক্ষণিক সঙ্গ দিচ্ছেন। আজ ২৭ মে লায়ন্সের নির্বাচনে সভাপতি পদে লড়ছেন জেএফএম রাসেল ও এসএম আলম। সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী রয়েছেন মশিউর মজুমদার ও আহমেদ সোহেল।
ভোটাররা বলছেন, ‘এবারের নির্বাচনে হাড্ডাহাডি লড়াই হবে। ফাস্টর্ ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে প্রার্থী হয়েছেন এমএ রশীদ ও হাসান জিলানী। নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হলেন এটর্নি মঈন চৌধুরী। কমিশনের সদস্যরা হলেন মতিউর রহমান, আমেনা নেওয়াজ, আব্দুর রহিম হাওলাদার ও রেজা রশীদ।