আনিসুর রহমান বেনাপোল প্রতিনিধি: পাওনা টাকার জন্য বাড়িতে তালা ঝুলিয়ে রাখল বুড়ি নামে এক পাওনাদার। তবে তালা ঝুলানোর তিন ঘন্টা পর পুলিশের উপস্থিতিতে তালা খুলে দিতে বাধ্য হয় পাওনাদার বুড়ির স্বামী গ্রাম্য চৌকিদার কবির হোসেন। বৃহস্পতিবার বেলা ১২ টার সময় তালা মারার পর বেলা তিনটার সময় বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশের সহযোগিতায় অবরুদ্ধরা মুক্তি পেল।
সুত্র মতে বেনাপোল পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ড এর কাগমারি গ্রামে ইয়ার আলীর কাছে ধারের টাকা দাবি করে চৌকিদার কবির হোসেন। কবির হোসেন বলেন, তার স্ত্রী ইয়ার আলীর নিকট ৫ লাখ টাকা পাবে। সে বাবদে তার কাছে একটি স্ট্যাম্প ও আছে। দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও তাদের পাওনা টাকা না দেওয়ায় তার স্ত্রী বুড়ি ইয়ার আলীর ঘরে তালা মারে। স্ট্যাম্প ওই সময় দেখাতে বললে সে দেখাতে পারে নাই।
এদিকে ইয়ার আলীর মেয়ে পারভিন সুলতানা জানান তার বাবার কাছে টাকা পাবে কি না তারা তা জানে না। আর এই বাড়িটি আমাদের তিন বোনের নামে। যদি তার বাবার কাছে টাকা পেয়ে থাকে তবে তারা তার বাবার সাথে বুঝা পড়া করবে। বার বার কবির চৌকিদার এর ছোট স্ত্রী আমাদের বাড়িতে এসে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে। আজ বেলা তিনটার সময় ওই মহিলা বাড়িতে এসে বাহির থেকে তাদের তালা মেরে দেয় বাড়ির কলাপসিবল গেটে। এতে তারা প্রায় তিন ঘন্টা পর বাড়িতে অবরুদ্ধ থাকে। তারা বেনাপোল পোর্ট থানার সরনাপন্ন হলে অবশেষে থানা পুলিশ এসে কবির চৌকিদারকে তালা খুলে দিতে বললে তালা খুলে দিলে তারা অবরুদ্ধ থেকে মুক্তি পায়। তার বাবা ইয়ার আলী কোথায় জানতে চাইলে পারভিন বলেন বাড়ি থেকে বেশ কিছুদিন যাবৎ কোথায় চলে গেছে তারা জানে না। তাদের সাথে কোন যোগাযোগও নাই।
এদিকে অন্য একটি সুত্র জানায় কবির চৌকিদার এর স্ত্রী বুড়ির নিকট থেকে ইয়ার আলী ১ লাখ টাকা ধান দেওয়ার দাদনে ধার নেয়। বিগত ২ বছর ধান না দেওয়াতে সেই টাকা বেড়ে ৫ লাখে দাড়িয়েছে।
এ বিষয় বেনাপোল পোর্ট থানার উপ-পরিদর্শক মামুন হোসেন বলেন, বাড়িতে তালা মেরেছিল। তালা খুলে দেওয়া হয়েছে। এরপর তারা বাড়িতে কোন ঝামেলা করতে পারবে না। তবে উভয়ের অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।