বেনাপোল ডাচ বাংলা ব্যাংকের মাধ্যেমে কোটি কোটি টাকা হুন্ডি পাচার

মোঃ আনিছুর রহমান বেনাপোল প্রতিনিধি:  বেনাপোল ডাচ বাংলা ব্যাংকের বিরুদ্ধে হুন্ডি পাচার গ্রাহকদের সাথে অসৌজন্য মুলক আচারন এর অভিযোগ উঠেছে। ডাচ বাংলা ব্যাংকের ম্যানেজার এর চেয়ে ওই ব্যাংকের সিকিউরিটি গার্ড এর প্রাধান্য বেশী। কারন সিকিউরিটি গার্ড হুন্ডি ব্যবসায়িদের নিকট থেকে উৎকোচের টাকা ব্যাংকের ব্যবস্থাপক তোতাউর রহমানকে দিয়ে থাকে বলে অভিযোগ উঠেছে।

বেনাপোল শাখার ম্যানেজার তোতাউর এর বাড়ি বেনাপোল এলাকায় হওয়ায় সে চোরাচালানিদের হুন্ডির টাকা পাচার করে বলে এলাকায় গুঞ্জন রয়েছে। এছাড়া ওই ব্যাংকের গ্রাহকদের সাথে ও ম্যানেজার সহ অন্যান্য কর্মকর্তারা খারাপ আচারন করে থাকার ও অভিযোগ রয়েছে। ব্যাংকে ঘন্টার পর ঘন্টা গ্রাহকরা দাড়িয়ে থাকে। তাদের বসার ও কোন সু ব্যবস্থা নাই। কোন কাজে গেলে ব্যাংকের অফিসাররা বলে ওখানে বসেন। বসেন বলে ঘন্টার পর ঘন্টা তারা কাজ করতে থাকে নিজেদের খেয়াল খুশি মত। এছাড়া ওই ব্যাংকের মাধ্যেমে দেশের প্রত্যান্ত অঞ্চলে হুন্ডির টাকা পাচার হয়ে থাকে। দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে ভারতে পাচার করার জন্য ডাচ বাংলা ব্যাংকের ম্যানেজার এর মাধ্যেমে চোরাকারবারিরা সহযোগিতা নেয়। এবং বিনিময়ে তাকে (ম্যানেজার) প্রতি লাখে ৩ থেকে ৫ শত টাকা ঘুষ প্রদান করে। আর এসব ঘুষের টাকা লেন দেন করেন ওই ব্যাংকের সিকিউরিটি গার্ড।

বেনাপোল ডাচা বাংলা ব্যাংকে ফেনসিডিল চোরাচালানিরা ও আশ্রয় নেয়। বিগত বছর দুই আগে ওই ব্যাংক থেকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি সদস্যরা খবর পেয়ে দুইজন ফেনসিডিল চোরাকারবারিকে ফেনসিডিল সহ আটক করে।

আবুল হোসেন নামে জনৈক একজন গ্রাহক বলেন ডাচ বাংলা ব্যাংকে টাকা রাখলে বছর শেষে আসল টাকা পাওয়া যায় না। লাভ তো দুরের কথা আসল জমা টাকা থেকে তারা কর্তন করে । অর্থাৎ ওই ব্যাংকে টাকা রাখলে আস্তে আস্তে হিসাব শুন্য হয়ে যাবে।

ডাচ বাংলা ব্যাংকের এরকম অনিয়ম দেখে  জনৈক শিমুল হোসেন  তার হিসাব কোজ করে।  আজ ২৬৯,১৫১,০০০৩৮০৪ নাম্বারের গ্রাহক  এ রহমান ব্যাংকের আচারনে ক্ষুব্ধ হয়ে  তার হিসাব ও ্েকাজ করে। তার হিসাব কোজ করতে ওই ম্যাানেজার ১২ শত টাকা কর্তন করে।

এ বিষয় ব্যাংকের ম্যানেজার তোতাউর রহমান এর নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, কতজন কত টাকা তাদের আত্নীয় স্বজন এর কাছে পাঠায়। কি ভাবে বুঝব কোনটা হুন্ডির টাকা। প্রতি লাখে তিনি ৩ থেকে ৫ শত টাকা নিয়ে থাকেন এমন প্রশ্নে তিনি থমকে গিয়ে বলেন এটা সত্য নয়। কেউ মিথ্যা তথ্য সরবরাহ করে থাকতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *