মাগুরাতে তীব্র গরমের সাথে সাথে বাড়ছে ডাবের দাম

মাগুরা প্রতিনিধি  খন্দকার নজরুল ইসলাম মিলন ঃ মাগুরাতে তাপদাহ যেভাবে বাড়ছে পাশাপাশি ডাবের দামও যেন পাল্লা দিচ্ছে, প্রচন্ড তাপদাহে হাঁপিয়ে উঠছে জনজীবন। তীব্র গরমে হাঁসফাঁস করছে মানুষ। আর এই গরমে ডাবের পানি যেন এখন বাঘের দুধ। স্বাভাবিকভাবে একটি ডাব ৩০ থেকে ৪০ টাকা বিক্রি হওয়ার কথা থাকলেও তা এখন বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত যা স্বাভাবিকের চেয়ে তিনগুণ বেশি। নারিকেল গাছ কমে যাওয়া, উৎপাদন হ্রাস, জন ও পরিবহন খরচ বৃদ্ধিতে ডাবের দাম বেড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। এদিকে ডাবের দাম বেড়ে যাওয়ায় ফ্রিজের ক্ষতিকর কমল পানি পান করে তৃষ্ণা মেটাচ্ছেন তৃষ্ণার্ত মানুষ। সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়,  জেলা শহরের বিভিন্ন জায়গায় দাঁড়িয়ে ও হাইয়ের পাশে ভ্যানে করে ডাব বিক্রি করছেন ভ্রাম্যমাণ বিক্রেতারা যেখানে একটি ছোট সাইজের ডাব বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা থেকে ১২০টাকা পর্যন্ত। ডাবের দাম বেড়ে যাওয়ায় ডাবের দোকানে যেন
চৈত্রের ভাটা। কেউ কিনছেন, কেউ কেউ আবার দাম শুনেই চলে যাচ্ছেন। অনেকে আবার লেবু-বিট লবণ মিশ্রিত ঠান্ডা পানি পান করে মিটাচ্ছেন ডাবের চাহিদা।
এমনি একজন ক্রেতা  তার সঙ্গে কথা বললে  তিনি বলেন ডাবের যে দাম তাতে মন চাইলেও একটা ডাব কিনতে পারছি না। অপর একজন ক্রেতা বলেন, ডাব এখন ধনী মানুষের  খাবার হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর তাই ডাব না খেয়ে লেবু-বিট লবনের পানি পান করতেছি।  এটা ডাবের থেকে অনেক ভালো লাগতেছে। ডাব বিক্রেতা আসলাম  শেখ  বলেন আগে যে ডাব কিনেছি ৩০-৪০ টাকা দিয়ে সে ডাব এখন কিনতে হচ্ছে ৮০-৯০ টাকা দিয়ে। কয়েক মাস আগেও একশ ডাব কিনেছি ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা দিয়ে যা এখন কিনতে হচ্ছে ৮ থেকে ৯ হাজার টাকা দিয়ে পাশাপাশি ডাব পাড়ার জন্য জন খরচ, ডাব বহন করার জন্য বহন খরচ আগের থেকে বেড়েছে। এছাড়াও আগে যেরকম সচারাচার বিভিন্ন এলাকায় ডাব পাওয়া যেত এখন আগের মত পাওয়া যায় না। ডাবের বেশ সংকট দেখা দিয়েছে বলেও জানান তিনি।
অপর একজন ডাব বিক্রেতা জয়নাল কাজী জানান, আমি প্রতি সিজনেই সিজনাল ফল বিক্রি করি। অন্যান্য ফল মোটামুটি পাওয়া গেলেও ডাবের বেশ সংকট রয়েছে ডাব আগের মত পাওয়া যায় না। আর যা পাওয়া যায় তা গৃহস্থরা বেশ চড়া দামে বিক্রি করে যার ফলে আমাদেরকেও বেশি দামে বিক্রি করতে হয় তা না হলে ডাব থেকে কোন লাভ হয় না।
বিদেশি ফলের সাথে পাল্লা দিয়ে দেশি ফলের দাম দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন স্থানীয় সচেতন মহলের দাবি । দেশীয় ফলজ গাছের সংকট দেখা যাচ্ছে তাই প্রতিবছর সরকারি এবং বেসরকারিভাবে উদ্যোগ নিয়ে দেশীয় ফলজ গাছ রোপন করার পাশাপাশি বাজার মনিটরিং জোরদার করতে হবে তা না হলে আগামী বছরগুলোতে দেশি ফলের দাম আরো অনেক বেশি বৃদ্ধি পাবে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *