মাগুরা সদরে শেখপাড়ায় দিনে দুপুরে ডাকাতি ও লুটপাটের অভিযোগ

খন্দকার নজরুল ইসলাম মিলন, মাগুরা প্রতিনিধি ঃ 

মাগুরা সদর উপজেলার মঘী ইউনিয়নের শেখপাড়া গ্রামে আলীম মোল্লার বাড়িতে দিনে দুপুরে ডাকাতি ভাঙচুর  ও লুটপাটের অভিযোগ। গত রবিবার ১৮ ফেব্রুয়ারী দুপুর ৩ টার সময় দিনে দুপুরে ডাকাতি কায়দায় লুটপাট ও ভাঙচুরের অভিযোগ জানিয়েছেন শেখপাড়া গ্রামের আলীম মোল্লা ও তার স্ত্রী মোছাঃ নার্গিস।
নার্গিস জানান, পূর্ব বিরোধের জের ধরে মাগুরা আদালতের মামলাকে কেন্দ্র করে লাঠি ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে বাড়িতে প্রবেশ করে শামীম বিশ্বাসের পুত্র আবজাল বিশ্বাস ও সুরমান বিশ্বাস, মোঃ এলাহীর পুত্র মোঃ আশরাফুল ও দিপু, আবজাল বিশ্বাসের পুত্র মোঃ মমিন বিশ্বাস, মোঃ শামীমের পুত্র মোঃ তামিম, আবুল বিশ্বাসের পুত্র একব্বর বিশ্বাস, সুরমানের পুত্র রোহান, মোঃ কবিরের স্ত্রী জেসমিন, শামীমের স্ত্রী জলি, এলাহির স্ত্রী কতরী সহ ১৮-২০ জনের বেশি লোকজন। তারা বাড়িতে প্রবেশ করে শাশুড়ী মোমেনা ও শশুর মাজেদ মোল্লাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। তারা দুজনে প্রতিবাদ করায় ক্ষিপ্ত হয়ে শশুর-শাশুড়িকে মারধর করে এবং সকলে মিলিয়া ঘর ও ঘরে থাকা বিভিন্ন প্রকার মালামাল কোপাইয়া কাটিয়া ও ডাকাতি কায়দায় আলমারিতে থাকা  স্বর্ণালংকারের কৌটা ও আলমারীর ডয়ার থেকে নগদ ১ লাখ ৩ হাজার টাকা নিয়ে চলে যায়।
ঘটনার এব্যাপারে আবুল হোসনের পুত্র জানান, এসব মিথ্যা ও বানোয়াট কথা আলীম মোল্লারা নিজেরাই ঘর কুপিয়ে আমাদের দোষ দিচ্ছে। তার ছেলে ৩য় শ্রেণিতে পড়ে সে খুব দুরন্তপনা এখনই গাঁজা-ফেনসিডিল সেবন ও মাঝে মধ্যে ডাকাতি করতে কাটাখাল ব্রিজে কাটের লাঠি নিয়ে কিছু ছোট ছেলেদের সাথে থাকে। গত ৩ মাস পূর্বে খুটিনাটি ঝগড়া দ্বন্দ্ব নিয়ে গ্রামে শালিস হয় এরপর এটা নিয়ে মাগুরা জজ কোর্টে মামলা হয়ে ছিলো। রবিবার দুপুর ১.৩০ টার সময় এলাহী বিশ্বাসের পুত্র মোঃ আশরাফুলকে ভায়নামোড় এলাকা হতে পারলা গ্রামের জসিম ৪-৫ জন মাস্তান দিয়ে তাকে বেদম প্রহার করেছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে নার্গিস, আলীম, সেলিম ও তাহাজ্জদ মিলে ঘরবাড়ি কুপিয়ে আমাদের দোষ দিচ্ছে আমি নিজে চোখে ঘটনা দেখেছি।
এলাহির স্ত্রী কতুরীকে কোন কথা বলতে নিষেধ করেন এক মাতব্বর।
গোলাম রসুলের স্ত্রী গোলাপি জানান, ১৫-২০ জন লোকজন এসে ঘরের জানালা ভেঙ্গে প্রবেশ এবং চারপাশে থেকে রামদা ও লাঠি নিয়ে ডাকাতি কায়দায় লুটপাট ও ভাঙচুর করেছে।
এবিষয়ে মাগুরা সদর থানায় একটা মামলা দায়ের করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *