জাতিসংঘে যে সব নিয়ম মেনে চলতে হয় শান্তিরক্ষী পাঠানো দেশগুলোকে

কালের সংবাদ ডেস্কঃ জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল জ্যাঁ-পিয়েরে ল্যাক্রোইক্স বলেছেন মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত কাউকে শান্তিরক্ষা মিশনে পাঠানো হচ্ছে না সংশ্লিষ্ট দেশকেই এটি নিশ্চিত করতে হবে।

মায়ের ডাকের পক্ষ থেকে তার কাছে যে চিঠি পাঠানো হয়, তাতে জ্যাঁ পিয়েরের প্রতি অনুরোধ করা হয় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা অপারেশনে মোতায়েন করা সদস্যদের মানবাধিকারের সর্বজনীন নীতি এবং জবাবদিহিতা যেন নিশ্চিত করা হয়। ওই চিঠির জবাবে ই-মেইল বার্তা পাঠান জ্যাঁ-পিয়েরেও।

গুম হওয়া ব্যক্তিদের পরিবারের উদ্দেশ্যে দেয়া বার্তায় জ্যাঁ পিয়েরে আরও বলেন, শান্তিরক্ষা মিশনে সেনাসদস্য বা পুলিশ পাঠানো সব দেশকে জাতিসংঘের নিয়ম অনুযায়ী পরিষ্কার করতে হবে যে, মোতায়েন করা বা রোটেশনের ভিত্তিতে যাদেরকে মিশনে পাঠানো হচ্ছে তারা কেউই আন্তর্জাতিক মানবাধিকার বা আন্তর্জাতিক কোনো মানবিক আইন লঙ্ঘন করেননি অথবা তাদের কারও বিরুদ্ধে এমন অভিযোগও নেই। এর আগে মায়ের ডাকের পক্ষ থেকে তার কাছে যে চিঠি পাঠানো হয়, তাতে জ্যাঁ পিয়েরের প্রতি অনুরোধ করা হয় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা অপারেশনে মোতায়েন করা সদস্যদের মানবাধিকারের সর্বজনীন নীতি এবং জবাবদিহিতা যেন নিশ্চিত করা হয়।

জ্যাঁ পিয়েরে ল্যাক্রোইক্স বলেন, বিভিন্ন সম্প্রদায়ের সঙ্গে আমাদের সংযুক্তিকে সফল করতে সবার আগে আমরা যে জিনিসটি করি, তাহলো শান্তিরক্ষী মিশনের সবাইকে সর্বোচ্চ পর্যায়ের গুণগত মান, সততা, যোগ্যতা এবং কর্মদক্ষতার সর্বোচ্চ মানদণ্ড বজায় রাখতে হয়। এটা বাধ্যতামূলক। এই নিয়ম অনুযায়ী শান্তিরক্ষী পাঠানো দেশগুলোকে জাতিসংঘের এসব নিয়ম মেনে চলতে হয়। তাদেরকেই নিশ্চিত করতে হবে যে, যাদেরকে মিশনে পাঠানো হচ্ছে তারা কেউ মানবাধিকার লঙ্ঘনে জড়িত নন।

আগামী ডিসেম্বরে ঘানায় অনুষ্ঠিতব্য জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের আগে ঢাকায় প্রথম প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হলো।

নারীর ক্ষেত্রে জাতিসংঘ যে বিষয়কে অগ্রাধিকার দিয়ে সদস্যরাষ্ট্র গুলোকে তা মেনে চলার আহ্বান জানাচ্ছে। বিষয় গুলো হচ্ছে প্রথমত, নারী যেসব প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হয়েছে সেগুলোর তথ্যপ্রমাণ জোগাড় করা। কিছু দেশ প্রতিবন্ধকতা শনাক্ত করে ব্যবস্থা নিয়ে ভালো উদাহরণ তৈরি করেছে, সেগুলো যেন অন্য সদস্য দেশগুলো অনুসরণ করে এবং সমস্যা সমাধানে উন্নয়নশীল দেশগুলো আর্থিক সহায়তাও চাইতে পারে।
দ্বিতীয়ত, প্রশিক্ষণ, নিয়োগ ও পদোন্নতিতে নারীর জন্য সমান সুযোগ তৈরি করতে হবে।
তৃতীয়ত, জাতীয় পর্যায়ে এবং শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে নারীর জন্য জেন্ডারবান্ধব ও নিরাপদ কর্মপরিবেশ তৈরি করতে হবে। চতুর্থত, নারীর প্রতি যৌন নিপীড়ন, সহিংসতা ও বৈষম্য দূর করতে জাতিসংঘ যেভাবে কঠোর পদক্ষেপ নেয়, সেটা যেন অন্য দেশও অনুসরণ করে।

বাংলাদেশে সশস্ত্র বাহিনীতে নারীর প্রতি যৌন নিপীড়নের ঘটনা নেই বললেই চলে।

রোববার তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published.