নওগাঁ পাসপোর্ট অফিস প্রাঙ্গন সবজির বাগানের সমারহ

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, স্টাফ রিপোর্টারঃ নওগাঁ পাসপোর্ট অফিসের পুরো প্রাঙ্গনই যেন সবুজ এর সমারহ। অফিসের প্রধান গেইটে প্রবেশ করতে চোখে পড়বে বিভিন্ন সবজির বাগান। প্রাচীর সংলগ্ন জায়গায় রোপন করা হয়েছে বিভিন্ন জাতের আমের গাছ। সবজির পাশাপাশি মাটিতে ও টবে শোভা পাচ্ছে নানা জাতের ফুলের গাছ আর মন কেড়ে নিচ্ছে ফুল গাছে ফুটে থাকা গোলাপ সহ নানা জাতের ফুল।
অফিসের মূল গেইট দিয়ে প্রবেশের সময় চোখে পড়বে চারি পাশের এলাকার করলা, বরবটি সহ বিভিন্ন সবজির গাছে ঝুলছে সবজি। পেয়ারা গাছে পেয়ারা, পেঁপে গাছে পেঁপে, মরিচ গাছে সবুজ-লাল মরিচ, ঢেড়স গাছে ঢেড়স, লাউ গাছে ঝুলছে লাউ। আর আম গাছগুলোতে নানা জাতের আম ঝুলে থাকার দৃশ্য চোখে পড়ার মতো। সবজি বাগান থেকে উৎপাদিত বিষমুক্ত সবজি দিয়ে নিজেদের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি আশেপাশের বিভিন্ন অফিস সহ স্থানীয় বাসিন্দাদের মাঝেও বিনামূল্যে সরবরাহ করে থাকেন বাগানের উদ্যোক্তা পাসপোর্ট অফিসের সহকারি পরিচালক মোঃ হেলাল উদ্দিন।
অফিস প্রাঙ্গনে বাগান তৈরির বিষয়ে অনভুতি ব্যক্ত করতে গিয়ে পাসপোর্ট অফিসের সহকারি পরিচালক মোঃ হেলাল উদ্দিন জানান, যান্ত্রিক এই জীবনে সবুজ পরিবেশ প্রতিটি মানুষের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ন। ঘুম থেকে উঠেই কিংবা শত শত কাজের ক্লান্তি দূর করতে চোখ মেলে একটু সবুজ পরিবেশ দেখার সুযোগ দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক এক ইঞ্চি জায়গা ফেলে না রেখে সামর্থ অনুসারে চাষাবাদ করার চেস্টা করেছি মাত্র। প্রতিদিন অবসর সময়ে অফিস প্রাঙ্গনের বাগানে বিভিন্ন গাছের পরিচর্যা করতে অনেক ভালো লাগে।
এছাড়া নিজেদের তৈরি বাগান থেকে বিষমুক্ত সবজি তুলতেও অনেক ভালো লাগে। অফিসের সকলের সার্বিক সহযোগিতায় এমন বাগান তৈরি করতে সক্ষম হয়েছি। আমি এই অফিসে যোগদানের পর থেকেই সবার সার্বিক সহযোগিতা নিয়ে সবুজে ঘেরা ছিমছাম ও সুন্দর একটি পরিবেশে সেবা গ্রহিতাদের সেবা প্রদানের চেস্টা করে আসছি।  তিনি বলেন, এই বাগানে উৎপাদিত সবজি দিয়ে আমাদের চাহিদা পূরণ হচ্ছে। বাজার থেকে খুব একটা কাঁচা সবজি কিনতে হয় না এতে করে কাঁচা বাজারে কিছুটা হলেও চাপ যেমন কমেছে আর্থিক ভাবে সাশ্রয়ও হচ্ছে। প্রতিনিয়তই অনেক মানুষ অফিসে এসে এই বাগান দেখে অনুপ্রাণিত হচ্ছে। সবজির বাগানের পাশাপাশি বিভিন্ন ফল ও বাহারি ফুলের গাছও লাগিয়েছি।
আমরা যদি আমাদের চারি পাশটাকে সুযোগ-সুবিধা অনুসারে ফুল, সবজি ও ফলদ গাছের বাগান তৈরি করি তাহলে স্থানটি যেমন দেখতে অনেক সুন্দর লাগবে তেমনি ভাবে মনোরম একটি পরিবেশও গড়ে উঠতে। আর যে কোন মানুষ দেখেও অনুপ্রাণিত হবে। আর এভাবেই বদলে যেতে পারে আমাদের চারি পাশের বসবাসের পরিবেশ। যে ভাবে দিন দিন সবুজ কমে যাচ্ছে তাতে করে পরিত্যক্ত জমিতে এই ধরণের বাগান ও বাড়ির ছাঁদে নতুন নতুন বাগানের সৃজন বর্তমান ও আগামীর প্রজন্মকে একটি সবুজে ভরা বাস যোগ্য নিরাপদ পৃথিবী গড়ে তোলার পাথেয় হিসেবে কাজ করবে। নিজের পরিবারকে বিষমুক্ত সবজি সরবরাহ করতে চাইলে বাড়ির পাশে কিংবা বাড়ির উঠনে পরিত্যক্ত জায়গায় সবজির বাগান গড়ে তোলার বিকল্প নেই বলেও জানান তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published.