শ্রীপুরের রাধানগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ

খন্দকার নজরুল ইসলাম মিলন, মাগুরা প্রতিনিধি: মাগুরা জেলার শ্রীপুর উপজেলার কাদিরপাড়া ইউনিয়নের রাধানগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ নওয়াব আলীর বিরুদ্ধে নানাধরণের অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। সোমবার ৭ আগস্ট ১২.৪৫ টার সময় রাধানগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক বৃন্দগণের সাথে কথা হলে আসল সত্য উদঘাটন হয়।

রাধানগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোঃ লিয়াকত বিশ্বাস বলেন, আমি এক বছর অত্র প্রতিষ্ঠানের সভাপতি, স্কুলের দূর্নীতির বিষয় সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন প্রধান শিক্ষক সমস্ত কিছুর ঘটনা বলতে পারবেন।

প্রধান শিক্ষক মোঃ নওয়াব আলী বলেন, সাবেক সভাপতি পরেশ চন্দ্র রাহুত চলে যাওয়ার পর স্কুল থেকে শিক্ষার্থীরা অন্য স্কুলে চলে গিয়েছে। তিনি বলেন স্কুলের ফান্ড থেকে আমি ১ লাখ টাকা নিয়েছি এবং রেজুলেশনে সাক্ষরিত করে নিয়েছি। শিক্ষকদের সাথে আমি কোন রাগান্বিত ব্যবহার করিনা। ২৭ টি স্কুলের দোকান সম্পর্কে জানান বেশ কিছুদিন ২-৩ বছর কোন লেনদেন নাই। পরবর্তীতে ঝামেলার রোধ চেষ্টা করেছি ভাড়াটিয়ারা দীর্ঘ দিন ভাড়া দেয় না, আর দোকান থেকে কোন ভাড়ার টাকা আসে না।

বাংলা বিভাগের সহকারী শিক্ষিকা সাজেদা খাতুন বলেন, অডিট রিপোর্টে সাক্ষরিত করেছি শুধুমাত্র বিদ্যালয়ের স্বার্থে প্রধান শিক্ষক নওয়াব আলী বলেন যে, স্বীকৃতি না থাকলে সবার বেতন বন্ধ হয়ে যাবে এবং বিদ্যালয়ের সবকিছু বন্ধ হয়ে যাবে। অত্র বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠানকে বাঁচাতে ও আমাদের পরিবারকে বাঁচাতে অডিট রিপোর্টে সাক্ষরিত করি।

বিজ্ঞান বিভাগের ১০ম শ্রেণির ছাত্র মেধাবী শিক্ষার্থী ক্যাপ্টেন শ্রাবণ দত্ত জানায়, আজকে বিদ্যালয় ক্লাস শুরুর সময় প্রধান শিক্ষককে সিলিং ফ্যানটা ঠিক করে দেন এই বিষয়টা জানানো হয়। গরমের কারণে ছাত্র-ছাত্রীরা ক্লাস করতে অসুবিধা ও সমস্যা হচ্ছে একথা বললে প্রধান শিক্ষক জানায়, যখন তোমার বাবা-মা এই স্কুলে পড়তো তখন কি ফয়ান ছিলো নাকি, তখনকার পরিবেশ আর এখনকার পরিবেশ এক নয়। তখন তিনি আরও বলেন, এই স্কুল ছেড়ে চলে যাও সিলিং ফ্যান দিবো না আমি। স্কুলে তোমার মতো ছাত্রর আর আসার দরকার নেই। এছাড়াও রয়েছে স্কুলের টিউবওয়েলের সমস্যা। মানবিক বিভাগের ১০ম শ্রেণির ছাত্রী তিশা খাতুন বলেন, স্কুলের বসার বেঞ্চ ভালো না এবং ক্লাসের মধ্যে নোংরা পরিবেশ।

ভৌত বিজ্ঞানের সহকারী শিক্ষক মোশাররফ হোসেন বলেন, ভিপি ক্যাপ্টেন শ্রাবণ দত্ত বললো মনের কষ্ট দায়ক দুঃখ দুর্দশার কথা। প্রধান শিক্ষক যদি বলেন মেধাবী ও সৎ চরিত্রের ছাত্রকে অন্য স্কুলে চলে যাও, সেই দুঃখের কথা সাংবাদিকদের জানাচ্ছে এটা খুবই মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল মূলক কথা ও আচরণ।

রাধানগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সমস্ত শিক্ষক ও কর্মচারী বৃন্দগণ জানান, প্রধান শিক্ষকের আচরণ সন্তোষজনক নয় এবং তিনি বেশির ভাগ সময় দূর্ব্যবহার মূলক আচরণ করেন।

বিদ্যালয়ের দোকানদারদের সূত্রে জানা যায়, প্রতিবছর শুরুতে ১২ মাসের দোকান ঘরের ভাড়া এককালীন দিয়ে দেওয়া হয়।

রেজুলেশন সূত্রে দেখা যায়, সাবেক সভাপতি পরেশ চন্দ্র রাহুতের মিটিং সভায়, প্রধান শিক্ষক মোঃ নওয়াব আলী লোন প্রদানের বিষয়টি অবাস্তব মিথ্যা ও ভিত্তিহীন প্রতীয়মান হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published.