ভাঙ্গুড়ায় নকল ঘি’য়ের কারখানার সন্ধান

সিরাজুল ইসলাম আপন, ক্রাইম রিপোর্টার (পাবনা): ঘি তৈরির প্রধান উপকরণ গরুর দুধ হলেও পাবনার ভাঙ্গুড়ায় ঘি তৈরি হচ্ছে মাছের খাবার হিসেবে ব্যবহৃত ঘির গাদ, ডালডা, ভেজাল পাম অয়েল, কৃত্রিম রং ও ফ্লেভার দিয়ে। দীর্ঘ দিন ধরে কিছু অসাধু ব্যবসায়ি ভাঙ্গুড়ায় এ সব নকল ঘি তৈরি করে প্রকাশ্যে বাজারজাত করে লক্ষ্য লক্ষ্য টাকার হাতিয়ে নিচ্ছে। প্রশাসনের নাকের ডগায় নকল ঘির কারখানর রমরমা ব্যবসা চললেও উপজেলা প্রশাসনকে জানিয়ে মিলছেনা তার প্রতিকার। এ নকল ঘির কারখানার সন্ধান মিলেছে উপজেলার সদর ইউনিয়নে হারোপাড়া গ্রামে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার সদর ইউনিয়নে হারোপাড়া গ্রামের আব্দুল খালেকের বাড়িতে একটি কারখানায় নকল ঘি তৈরি হচ্ছে। শনিবার ১৯ আগস্ট রাত ৮ টা দিকে স্থানীয় সংবাদ কর্মীরা কারখানায় গিয়ে ৫ মণ নকল ঘি, ডালডা, সয়াবিন, কেমিক্যাল ও নকল দুধ তৈরির সরমজাম দেখতে পাওয়া যায়। এসময় সাংবাদিকদের সাথে প্রায় শতাধিক স্থানিয়রা উপস্থিত ছিলেন।

সাংবাদিকরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খান কে জানালে তিনি বলেন, অনেক রাত হয়েছে আগামি কাল সকালে দেখবো কি করা যায়। পরে ভাঙ্গুড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলহাজ¦ মো. রাশিদুল ইসলাম খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ঘটনার সত্যতা পান। এসময় কারখানার মালিক ওয়ালিদ ও কর্মচারিরা পালিয়ে যায়। ওসি নকল ঘি ও দুধ তৈরির কেমিক্যাল ও মালামার ঐ বাড়ির মালিক আব্দুল খালেক এর জিম্মায় রেখে আসেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার এমন উদাসিনতায় স্থানিয় অনেকেই তার সততাকে নিয়ে প্রশ্ন তুলছে।

কারখানার উপস্থিত কর্মচারিরা জানায়, এই কারখানার মালিক মো. নাইম হোসেন (সোহাগ) ও মো. ওয়ালিদ হোসেন। সোহাগ ভাঙ্গুড়া পৌর সভার সরকার পাড়া মহল্লার মো. রোজ বাবুর ছেলে ও ওয়ালিদ হোসেন ময়মনসিং জেলার বাসিন্দা।

স্থানিয়রা আরোও জানায়, সোহাগ ৫/৭ বছর খামারিদের দুধ সংগ্রহ করে সকাল বিকেল ২/৩ মন দুধ বিভিন্ন চিলিং সেন্টারে দিত। হঠাৎ করে সোহাগ ঘি তৈরির ব্যবসা শুরু করে। ব্যবসার ২ বছর না যেতেই আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়েছে।

এ বিষয়ে ভাঙ্গুড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলহাজ্ব মো. রাশিদুল ইসলাম বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে বলেছি। উপজেলা প্রশাসন আইনগত ব্যবস্থা নেবে।

ঘটনার পরের দিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খান বলেন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) কে বলা হয়েছে তিনি সেখানে গিয়ে ব্যবস্থা নেবেন।

এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) তাসমীয়া আক্তার রোজী বলেন, দুপুরের দিকে কারখানায় গিয়ে সব কিছু দেখে ব্যবস্থা গ্রহন করা কবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.