কমলনগর উপজেলা কৃষি দপ্তর কৃষিতে এক অনন্য বিপ্লব সাধন করেছেন

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলা কৃষি দপ্তর কৃষিক্ষেত্রে এক মহাবিপ্লব সংঘটিত করে চলেছেন। কোথাও থাকবে না একটুকু পতিত জমি সরকারের এমন নির্দেশনা বাস্তবায়নে, যে জমিতে যে ফসল উৎপাদন করা যায় এবং একই জমিতে একাধিক জাতের ফসল উৎপাদন করা যায় এমনই মেঘা প্রকল্প ও নানা ধরণের কৃষি ও কৃষকবান্ধব সহযোগিতা নিয়ে কমলনগর মাঠ পর্যায়ে কাজ শুরু করেছেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো:আবুছায়েদ তারেক বলেন, কমলনগর উপজেলা,লক্ষ্মীপুর জেলার দক্ষিনে অবস্থিত । এখানের মানুষ বেশী কৃষির ওপর নির্ভরশীল । উপজেলা কৃষি অফিস কৃষি কাজে নানা মুখি স্বপ্ন দেখায় মানুষকে। যে স্বপ্ন কমলনগরবাসীর জীবনে বাস্তব স্বপ্নে রূপ নিয়েছে। কমলনগর উপজেলা কৃষি দপ্তরের কৃষি কর্মকর্তা ও উপ সহকারী কর্মকর্তাগণের নিরলস প্রচেষ্টায় আজ কর্মহীন কিংকর্তব্য বিমুখ মানুষের মাঝে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনে এক সুন্দর জীবনে এনে দাঁড় করিয়েছে।

কমলনগর উপজেলার কৃষি খাতে চাষিরা এখন ধান, গম, সরিষা, চুঁইঝাল, সবজী, ঘাস চাষ, ভুট্টা চাষে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে। নানা জাতের ফুল, ফল ও বনজ গাছের নার্সারী তৈরি করে এলাকায় খ্যাতি অর্জন করেছে। আম এবং দ্রাগন ফলের বাগান করে অনেকে বানিজ্যিক ভাবে লাভবান হয়েছেন। এখানেই শেষ নয়, কৃষকদের জমিতে সেচ সুবিধা তরান্বিত করতে সেচ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। মাছ চাষের পাশাপাশি সেচ সুবিধা তরান্বিত করতে আগামীতে আরো কয়েকটা নতুন কর্মসূচি বাস্তবায়নের অপেক্ষায়। তবে ছোয়াবিন চাষ উপজেলার দীর্ঘদিনের একটা সম্ভাবনাময় ফসল। সেদিকে কঠোর দৃষ্টি আকর্ষণ ছোয়াবিন চাষি ও কৃষি বান্ধব সকল মহলের।
পাশাপাশি কমলনগরে মৎস্য চাষ, আম চাষসহ হাস,মুরগি, গাভী ও ছাগল পালন খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। যুব সমাজ বর্তমানে গাভী ও হাস-মুরগি খামারের দিকে ঝুঁকে পড়ছে। এতে উপজেলার মানুষের প্রচুর আমিসের চাহিদা পুরন হচ্ছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো:আবুছায়েদ তারেক আরো বলেন,মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী কমলনগরে ঘরের আঙ্গিনাসহ যেখানেই খালী জমি আছে সব জমিতেই নতুন আঙ্গিকে শাখ-শবজি,ফল বাগান করে এলাকার জনগনের মাঝে কৃষি বিপ্লব ঘটাতে আমাদের কার্যক্রম অভ্যাহত থাকবে ।

Leave a Reply

Your email address will not be published.