সিলেটে নবজাতক শিশু টিকা সরবরাহ স্বাভাবিক হয়েছে

আবুল কাশেম রুমন,সিলেট: গত কয়েক মাস ধরে সিলেটে নবজাতক শিশু টিকা সরবরাহ না থাকায় নানা প্রশ্নের সম্মুখিন হতে হয়েছে সিলেটের স্বাস্থ্য বিভাগ। দীর্ঘ কয়েক মাসের পর অবশেষে সিলেটে নবজাতক থেকে শুরু করে ৫বছর বয়সী শিশু টিকার সরবরাহ স্বাভাবিক হয়েছে। মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) টিকার চালান সিলেটে এসে পৌঁছলে বুধবার নগর এলাকা থেকে শুরু কওে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে টিকা পাঠানো হয়েছে বলে সিলেট সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে।

মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সিলেটে থেকে যোগাযোগের পর ঢাকা থেকে টিকার চালান সিলেটে পাঠানো হলে বুধবার থেকে সেসব টিকা ইপিআই টিকাদান কেন্দ্রসহ সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, কমিউনিটি ক্লিনিকে সরবরাহ করা হয়েছে। এখন থেকে সব ধরনের টিকার সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে।

সিলেট সিভিল সার্জন অফিসের জেলা ইপিআই সুপারিনটেনডেন্ট অভিজিৎ ভট্টাচার্য্য এই তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, সিলেটে কিছুদিন শিশু টিকার সংকট ছিল। তবে বুধবার থেকে সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে। সকল ইপিআই কেন্দ্রে ইতোমধ্যে টিকা পাঠানো হয়েছে।

জানা গেছে, সিলেটে ৪ মাস ধরে শিশুদের টিকা সংকট চলছিল। বিশেষ করে পিসিভি ও পেন্টা টিকার মারাত্মক সংকট ছিল। বাচ্চার বয়স ৪২ দিন পার হলেও এই দুটি টিকা দিতে হয়। কিন্তু অনেকের বাচ্চার বয়স ২ মাস পেরিয়ে গেলেও কোন টিকাদান কেন্দ্রে টিকা পাওয়া যায়নি। সরবরাহ না থাকায় সময়মতো টিকা দিতে না পারায় শিশুদের স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে অভিভাবকদের মাঝে শঙ্কা বিরাজ করেছিল।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই) আওতায় জন্মের পর থেকে ২৩ মাস বয়সের মধ্যে ১০টি বিভিন্ন রোগের প্রতিষেধক হিসেবে শিশুদের ৭ ধরনের টিকা দেওয়া হয়। টিকা গুলো হলো বিসিজি, ওপিডি বা পোলিও, আইপিভি, পিসিভি, পেন্টা ভ্যালেন্ট, এমআর-১ ও এমআর-২। কিন্তু গত জুলাই মাস থেকে সিলেটে পিসিভি, পেন্টা ভ্যালেন্ট টিকা পাওয়া যাচ্ছিল না। বাকী টিকাগুলোরও স্টক প্রায় শেষ হয়ে গিয়েছিল। অবশেষে টিকার সরবরাহ স্বাভাবিক হওয়ায় অভিভাবকগণ চিন্তামুক্ত হয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published.