নিয়ামতপুরে সরিষার হলুদ ফুলে প্রকৃতি সেজেছে নতুনরুপে।

জাকির হোসেন  নিয়ামতপুর(নওগাঁ) প্রতিনিধি: ঋতু বৈচিত্র্যের এ বাংলায় বছরের বিভিন্ন সময় বর্ণিল রং আর অনাবিল সৌন্দর্য নিয়ে সেজে ওঠে ফসলের মাঠ। কখনো সবুজ রঙে ছেয়ে যায় মাঠ, কখনো রুপালি জলে ভরে যায় বিল আবার কখনো সোনালি ধানের শিষে লাগে বাতাসের দোল, আর শীতের শুরুতে দিগন্ত জুড়ে দেখা যায় হলুদ সরিষা ফুল। দেখে মনে হয় যেন প্রকৃতি সেজেছে হলুদের সাজে।

সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার শ্রীমন্তপুর ইউনিয়নের হরিপুর, বাহাদুরপুর ইউনিয়নের গুজিশহর, বরিয়া, ছাতমা এলাকায় ও রসুলপুর ইউনিয়নের  পানিহারা এলাকায় সরিষার হলুদ ফুলে ছেয়ে গেছে মাঠ। দেখে মনে হয়ে যেন হলুদ চাদরের বিছানা। এ সময় ছোট থেকে শুরু করে বয়স্কদেরও দেখা যায় সরিষা মাঠের ছবি তুলতে।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে সরিষার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ হাজার ৫০ হেক্টর মেট্টিক টন। মৌসুমে সব মিলিয়ে ৫ হাজার ৫শ ৫০ হেক্টর জমিতে সরিষার চাষ হয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অফিস।

এ বিষয়ে চকশিতা গ্রামের কৃষক মোবারক হোসেন বলেন, ‘আমাদের হরিপুর বিলে পানি থাকার কারণে ধান একবার করে হয়। পানি নামার সঙ্গে সঙ্গে আমরা সরিষার আবাদ করে থাকি। এ বছর ১০ বিঘা জমিতে সরিষার আবাদ করা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলন ভালো হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’

পানিহারা গ্রামের কৃষক জানারুল ইসলাম বলেন, ‘এ বছরে ৪ বিঘা জমিতে সরিষার চাষ করেছি। সরিষার গাছ ভালো হয়েছে এবং ফুলও এসেছে ভালো। প্রতি বছর বিঘা প্রতি ৭-৮ মণ করে পেলেও এ বছর ৯ মণের অধিক সরিষা হবে।’ গুজিশহর এলাকার কৃষক রমজান বলেন, ‘বোরো ধান লাগানোর আগে খেতে সরিষা লাগানো হয়। সরিষার দাম ভালো থাকায় এ বছর ১০ বিঘা সরিষা আবাদ করেছি। ফলনও ভালো হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ কামরুল হাসান বলেন, ‘এ মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে রয়েছে। পরিবেশ ভালো থাকায় কৃষকও বেশ উৎসাহী। দাম ভালো থাকায় কৃষকেরা সরিষা চাষে আগ্রহী হচ্ছে। লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়ে অতিরিক্ত উৎপাদন হবে বলে জানান তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published.