নিজস্ব সংবাদ দাতাথানচি ( বান্দরবান): বান্দরবানের থানচি রেজ্ঞে তত্ত্বাবধানের দীর্ঘ ১০ দিন সুচিকিৎসা পর সুস্থ হয়ে বিরল প্রজাতি শকুন অবমুক্ত করা হয়েছে।
পর্যটন এলাকার তমাতুঙ্গী’র স্পট থেকে অবমুক্ত করেছে উপজেলা প্রশাসন।
অবমুক্ত করে দেয়ার সাথে সাথে বিরল প্রজাতি শকুনটি দুই পাকা গজিয়ে উড়াল দিল গভীর বনাঞ্চলের ।
থানচি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা( ইউএনও) মোহাম্মদ মামুন শনিবার(২৩ডিসেম্বর) বিকালে স্থানীয় সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়েছেন।
তিনি বলেন,বনেরা বনের সুন্দর,শিশুরা মাতৃ ক্রোড়ে’ এ বাগধারা উল্লেখ তিনি বলেন চিকিৎসার পর গত ২০ ডিসেম্বর শকুনটিকে গভীর বনাঞ্চলের অবমুক্ত করে মুক্ত করা হলো । এ বিরল প্রজাতি শকুনটি এশীয় প্রজাতির এবং বাংলা শকুন নামে পরিচিত। পরিবেশ প্রকৃতি বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা ইইউসিএন বিশ্বের মহা বিপন্ন প্রাণী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল।
বন বিভাগের থানচি রেজ্ঞের রেজ্ঞ কর্মকর্তা তৌহিদুল রহমান তগর জানান, গত ১০ ডিসেম্বর দুর্গম মায়ানমার সীমান্তে বড় মদক এলাকার রেমাক্রী ইউপি সাবেক মেম্বার লালপিয়াম বম অসুস্থ অবস্থায় জঙ্গলে পড়ে থাকায় বিরল প্রজাতি সাথি হাড়া একা অবস্থা অসুস্থ শকুনকে উদ্ধার করে। পরে থানচি থানায় হস্তান্তর করা হয়। ওই দিনে-ই থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: জসিম উদ্দিন আমাদের বন বিভাগের নিকট হস্তান্ত করেন। বন বিভাগের তত্বাবধানের থানচি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পশু প্রাণি চিকিৎকের মাধ্যমে সু- চিকিৎসাসহ শকুনের প্রয়োজনীয় খাদ্য খাওয়ানো হয়।
রেঞ্জ কর্মকর্তা আরও জানান ২০ ডিসেম্বর শকুনটি সম্পুর্ন সুস্থ হলে চিকিৎসকের পরামর্শে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ মামুনকে অবহিত করেন।
পরে বন বিভাগ ও উপজেলা প্রশাসন যৌথ সিদান্তে অবমুক্ত করা হয়েছে বলে জানালেন রেঞ্জ কর্মকর্তা।
শকুনের অবমুক্ত করার সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মামুন, প্রেস ক্লাবের সভাপতি অনুপম মারমা, থানচি রেজ্ঞের ফরেস্ট গার্ড মৃনাল কান্তি ভাওয়াল, স্পিট বোট ড্রাভার ফরিদুল আলম, প্লান্টিশন বাগান মালিক মো: মোবারক হোসেন প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও অর্ধ শতাধিক পর্যটকেরা শকুনটি গভীর জঙ্গলে উদ্দেশ্যে মুক্ত উড়াল দৃশ্য অবলোকন করেন ।
এদিকে শকুন উদ্ধারকারী ও সাবেক মেম্বার লালপিয়ান ও তাঁর প্রতিবেশিরা সাংবাদিকদের বলেছেন অসুস্থ শকুনটিকে যথাযথ চিকিৎসা দেয়া পর সুষ্ঠু হয়ে আবার জঙ্গলে উড়াল দৃশ্যটি আমাদর খুব মুগ্ধ করেছে। এজন্য উপজেলা প্রশাসন, বন বিভাগ, প্রাণি সম্পদ অফিস ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বশীল কর্তাকর্তাদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছেন প্রাণি ও প্রকৃতি প্রেমিরা।