ভোটারদের ভয় পেলে তাদের নির্বাচনের প্রয়োজন কি? — আশরাফুল আলম লিটন

মোঃ আনিছুর রহমান, বেনাপোল প্রতিনিধিঃ দ্বাদশ জাতিয় সংসদ নির্বাচনের ৮৫ যশোর (শার্শা -১ ) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলম লিটন এর সকাল থেকে  গনসংযোগে বাহাদুরপুর ইউনিয়নের সকল ওয়ার্ড এর ভোটাররা ভোট কেন্দ্রে যেতে নৌকা প্রতিকের সমর্থকরা নিশেধ প্রদান করছে বলে অভিযোগ করেন। ভোট কেন্দ্রে গেলে পা ভেঙ্গে দেওয়া হবে স্বতন্ত্র প্রার্থীর ট্রাক প্রতিকের ভোট দেওয়া যাবে না এমনটি অভিযোগ করেছে ধান্যখোলা, শাখারীপোতা, বোয়ালিয়া, ঘিবা, বাহাদুরপুর, ভুজতলা মানকিয়া ও রঘুনাথপুরের সাধারন ভোটারা। এছাড়া বাহাদুরপুর ভোট সেন্টারে কোন স্বতন্ত্র প্রার্থীর পোলিং এজেন্ট দেওয়া যাবে না বলে সরাসরি গনসংযোগের নেতা কর্মীদের হুমকি দেয় তিতাস নামে একজন দুর্বৃত্ত। নির্বাচনী কয়েকটি পথসভায় যশোর জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক আশরাফুল আলম লিটন সকল ভোটারদের নির্বিঘ্নে ভোট কেন্দ্রে যেয়ে ভোট প্রদানের আহবান জানান। তিনি বলেন, আপনার ভোট একটি পবিত্র আমানত নেতা নির্বাচনের জন্য। আপনি কোন অন্যায়ের সাথে আপোষ না করে ভোট কেন্দ্রে যাবেন। যদি কেউ বাধা প্রদান করে সাথে সাথে প্রশাসনকে অবহিত করবেন। কারন এই নির্বাচন কোন ধুলা খেলা নির্বাচন নয়। এই নির্বাচন অত্যান্ত গুরুত্বপুর্ন ও তাৎপর্যপুর্ন নির্বাচন। এই নির্বাচন জননেত্রী শেখ হাসিনার অঙ্গীকারের কেউ অমর্যাদা করলে তার শাস্তি হবে। আপনারা আপনাদের ভোটে আগামি ৫ বছরের জন্য একজন সৎ আদর্শ এবং যে উন্নয়ন করতে পারে যে, সংসদে গিয়ে আপনাদের দুঃখ দুর্দশার কথা বলতে পারে তেমন একজন নেতা নির্বাচন করবেন।

বুধবার বিকাল ৪ টার সময় বাহাদুরপুর ্ইউনিয়ন এর আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল ওহাব এর সভাপতিত্বে উপজেলার সকল স্তরের মানুষের আয়োজনে ঘিবা স্কুলে পথসভায়  প্রধান অতিথি হিসাবে আশরাফুল আলম লিটন বলেন, আপনারা জানেন যদি আপনারা ভোট না দেন তাহলে সৎ আদর্শ নেতা নির্বাচিত না হয়ে আপনার ভুলে একজন অসৎ মানুষ নির্বাচিত হবে।  আর ভুল মানুষ সমাজ এর নেতৃত্ব পেলে, অত্যাচরি লুন্ঠনকারী জুলুমবাজরা সমাজে নেতৃত্ব দেয়। তাই আগামি ৭ তারিখে সকলে ভোট কেন্দ্রে যাবেন যাকে খুশি তাকে ভোট দিবেন। কারন উৎসব মুখর নির্বাচন হবে। সব থেকে মুল্যাবন হচ্ছে একটি নির্বাচনে ভোটাররা। এই ভোটাররা নির্বাচিত করবে ভাল মন্দের পার্থক্য । আগামি ৫ বছরের জন্য একজন ভাল মানুষ নির্বাচন করবে।

তিনি বলেন যারা ভেটারদের হুমকি দেয় এরা সমাজের অভিশপ্ত অংশ। এরা দুর্বল। এরা মানুষকে ভাল বাসে না। মানুষকে অসন্মান করে এবং ভয় দেখায়। এরা সমাজের উচ্ছিষ্ট অংশ। আমি আহবান করব আপনি ভাল বাসা দিয়ে সব ভোট নিয়ে যান। আমার কোন আপত্তি নাই। আপনি ভোটারদের হাতে গুনা কয়েকজন সন্ত্রাসী দিয়ে হুমকি ধামকি দেন এ থেকে বিরত থাকেন। আমার শার্শার মানুষ চায় শান্তি। আপনি দুর্বল তাই প্রতিদিন মরেন। আপনি সাহসী নয় মানুষের সাথে ভাল ব্যবাহার করেন না। মানুষকে ভালবাসলে আপনি ভোটারদের ভয়ভিতি দেখাতেন না।

তিনি বলেন, আগামি ৭ তারিখে আপনারা সন্ত্রাস মুক্ত দুর্নীতি মুক্ত শার্শা গঠন করার নতুন ইতিহাস তৈরী করবেন। এই জনপদে আপনারা যে ইতিহাস লিখবেন সেই ইতিহাস বিগত ১৫ টি বছরের অপশাসন দুঃশাসন এর অবসান ঘটবে। আপনাদের ভোটে পিতার বয়সী পিতা অসন্মানিত হবে না। কারন আজ যে অত্যাচার নির্যাতন এবং ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার বাধা প্রদান করছে এসব দুঃশাসন এর ইতিহাস আগামি ৭ তারিখে ভোটের মাধ্যেমে লিখবেন। আপনাদের সম্পদ যাতে আর লুট না হয় যাতে শান্তি স্বস্তিতে বসবাস করতে পারেন লিখবেন সেই ইতিহাস।

সাবেক মেয়র লিটন বলেন, আমি এই নির্বাচন করতে এসে অনেক ভালবাসা পেয়েছি। আপনারা যে মর্যদা যে সন্মান দিয়েছেন আমি যদি আপনাদের ভোটে নির্বাচিত হই তাহলে আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকব। এবং আপনাদের এলকার উন্নয়ন চাহিদা পুুরুন করব। আর আপনারা ভোট দিয়ে নেতা নির্বাচনের পর সেই নেতার দ্বারা যদি অপমানিত হন, অসন্মানিত হন তাহলে এর চেয়ে ব্যাথা কি আর থাকতে পারে। তাই আপনারা সকল রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে আপনাদের উন্নয়নের নেতা নির্বাচন করুন।

আপনারা জানেন একজন ইউপি সদস্য নির্বাচন করলে সে যায় ইউনিয়নে, উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান নির্বাচন করলে সে যায় উপজেলায় আর সংসদ সদস্য নির্বাচন করলে সে যায় সংসদে। কিন্তু আজ দেখেন যাকে আপনারা সংসদ নির্বাচন করেছেন সে এই ১৫ টি বছর কি সংসদের গিয়েছেন? আপনাদের কথা কি সংসদে বলেছেন । তাই ভাবুন এই অঞ্চলের মানুষের উন্নয়নে আপনারা এমন নেতা নির্বাচন করুন যে আপনাদের নিয়ে ভাবে। যার সময় আছে আপনাদের উন্নয়নের জন্য।

এবারের নির্বাচন হবে অত্যান্ত শান্তিপুর্ন। এবার প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনারের অঙ্গীকার ভোট হবে অত্যান্ত শান্তিপুর্ন। আমি আপনাদের সকল পেশার মানুষের হাসি দেখতে চাই। আপনাদের হাসির চেয়ে  মুল্যবান আর কিছু হতে পারবে না। তাই আমাকে যত বাধা বিঘ্ন সৃষ্টি করুক আমি আপনাদের ছেড়ে কোথাও যাব না। আমার প্রান থাকতে আমাকে নির্বাচন থেকে সরাতে পারবে না। অনেক গুজব ছড়াচ্ছে, কোন গুজবে কান দিবেন না।  এই শার্শায়  আগামি ৭ তারিখে প্রমান হবে টাকার শক্তি বড় না ভালবাসার  শক্তি বড়।  সন্ত্রাসের শক্তি বড় না মায়ার শক্তি বড়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামীলীগ নেতা হাফিজুর রহমান, আনিছুর রহমান, সাবেক শার্শা উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক আকুল হোসাইন, বেনাপোল ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আশাদুজ্জামান আশা প্রমুখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published.