মাগুরায় ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে রাখা অবস্থায় নববতুর গলা থেকে গণনা চুরি

মাগুরা প্রতিনিধি, খন্দকার নজরুল ইসলাম মিলন : মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের লাশ রাখার অস্থায়ী ঘরে থাকা নববধূর গলা থেকে গহনা চুরির ঘটনা ঘটেছে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে অভিযোগ জানানো হলেও পুলিশ চুরির বিষয়ে  কোনো কূলকিনারা করতে পারেনি।

মাগুরা জেলার শ্রীপুর উপজেলার সোনাতুন্দি গ্রামের রিয়াজুল ইসলাম জানান, তার মেয়ে বৃষ্টি (১৯) শ্রীপুর উপজেলার দারিয়াপুর ডিগ্রি কলেজে পড়াশোনা করছে। ২০২৩ সালের মার্চ মাসে মাগুরার সদর উপজেলার চাপড়া গ্রামের কসমেটিক ব্যবসায়ী সাদাত রহমান সর্বুর সঙ্গে মেয়ের বিয়ে হয়। লেখাপড়ার পাশাপাশি মেয়ে সুখ শান্তিতে ঘর সংসার করছিল; কিন্তু রাতে খবর পাই তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে শ্বশুরবাড়ির একটি ঘরে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে বৃষ্টি আত্মহত্যা করেছে। খবর পেয়ে আমরা হাসপাতালে গেলে বৃষ্টির নাক, কান এবং গলায় স্বর্ণের গহনা দেখতে পাই। পুলিশ রাতেই সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে লাশ হাসপাতালের নীচতলায় অস্থায়ী লাশ ঘরে তালাবদ্ধ করে রাখে।

তিনি জানান, বুধবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য বের করার সময় গলায় থাকা স্বর্ণের গহনা দেখতে না পেয়ে পুলিশকে জানানো হয়। তারা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে গহনা উদ্ধারের চেষ্টা করবে বললেও তারা আমাদের আর কিছুই জানায়নি।

মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার বিকাশ কুমার শিকদার বলেন, হাসপাতালে কোনো রোগীর মৃত্যু হলে তাৎক্ষণিকভাবে যেখানে রাখা হয় সেই ঘরটির তালা চাবি নিয়ন্ত্রণ করে হাসপাতালের পুলিশ ব্যারাকের সদস্যরা। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে বৃষ্টি (১৯) নামের মেয়েটিকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক এহসানুল হক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে ব্যারাকের পুলিশ সদস্যরাই মরদেহটি লাশঘরে তালাবদ্ধ করে রাখেন। কিন্তু সেখান থেকে কিভাবে গহনা হারিয়ে গেছে সেটি আমাদের জানার বিষয় নয়।

হাসপাতালের পুলিশ ব্যারাকের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তারা এ বিষয়ে কিছু বলতে রাজি হননি।

মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মেহেদী রাসেল বলেন, নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে গহনা চুরির বিষয়টি জানানো হলেও এ বিষয়ে লিখিত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তিনি আরও জানান রাতে সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করার সময় সেখানে নিহতের পরিবারের অনেক সদস্য উপস্থিত ছিলেন কিন্তু কখন কিভাবে স্বর্ণের গহনাটি খোয়া গেছে সেটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.