পত্নীতলায় ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে ইউপি সদস্য গ্রেফতার

ইখতিয়ার উদ্দীন আজাদ, পত্নীতলা (নওগাঁ) প্রতিনিধি : পত্নীতলায় এক নারীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আনারুল ইসলামকে প্রতিবাদী জনতা কর্তৃক ধৃত উত্তম-মধ্যম দিয়ে থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই নারী বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন।

গ্রেফতারকৃত হলেন উপজেলার নির্মইল ইউনিয়নের ইউপি সদস্য ও শ্যামপুর গ্রামের মৃত আমেজ উদ্দিনের পুত্র আনারুল ইসলাম (৪৫)।

মামলার এজাহার ও থানা পুলিশ এবং স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী ওই নারীর বাবার বাড়ি উপজেলার নির্মইল ইউনিয়নের গোবিন্দবাটি গ্রামে। ভুক্তভোগী তালাকপ্রাপ্ত হওয়ার পর নিজ মা-বাবার বাড়িতে বসবাস করছে।

গত বুধবার (৭ ফেব্রæয়ারি) সন্ধ্যায় ওই তালাকপ্রাপ্ত নারীর বাড়িতে অসৎ উদ্দেশ্যে প্রবেশ করে ইউপি সদস্য আনারুল। পরে গল্পের ছলে ওই নারীর দাদী ও ছোট ভাইকে গ্রামের একটি দোকানে কৌশলে পান ও সিগারেট কিনতে পাঠায় লম্পট আনারুল। এই সুযোগে ফাঁকা বাড়িতে তালাকপ্রাপ্ত নারীকে জোর করে খাটের উপর শুয়ে দিয়ে জামা-কাপড় খুলে ধর্ষণ করার চেষ্টা চালায় ইউপি সদস্য আনারুল। ভুক্তভোগী ওই নারীর আত্মচিৎকারে প্রতিবাদী প্রতিবেশিরা ছুটে এসে শ্লীলতাহানীর অভিযোগে এ সময় ইউপি সদস্য আনারুলকে ধরে ফেলে ও উত্তম-মধ্যম দেয়। পরে লম্পট আনারুলকে আটকিয়ে রাখে গ্রামবাসী। এরপর পতœীতলা থানা পুলিশ জনতা কর্তৃক খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রতিবাদী জনতার হাতে আটককৃত ইউপি সদস্য আনারুলকে আহত অবস্থায় গ্রেফতার করে। পরে এ ঘটনায় রাতেই ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে থানায় ধর্ষণ চেষ্টার মামলা রেকর্ড করেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পত্নীতলা থানার ওসি মোজাফফর হোসেন উপরোক্ত ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রæয়ারি) সকালে জনতা কর্তৃক মারধরের শিকার আহত আসামী ইউপি সদস্য আনারুলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পুলিশ হেফাজতে ভর্তি করা হয়েছে।

পত্নীতলা থানার ওসি (তদন্ত) সেলিম রেজা জানান, এ ঘটনায় বুধবার রাতেই ধর্ষণ চেষ্টাকারী আনারুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, ভিকটিমের শারীরিক অবস্থার আলামত (নমুনা) সংগ্রহ ও পরীক্ষার জন্য নওগাঁ জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.