নয়াপল্টনে নেতাকর্মীদের ভালোবাসায় সিক্ত ফখরুল-আব্বাস

কালের সংবাদ ডেস্কঃ পুলিশের করা মামলায় এক মাসেরও বেশি সময় পর কারামুক্ত হয়েই দলের নেতাকর্মীদের ভালোবাসায় সিক্ত হলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।

সোমবার (৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৫টা ৫০ মিনিটে ঢাকার কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্ত হওয়ার পর মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাস নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আসেন।

সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় তারা নয়াপল্টনে পৌঁছান। এসময় দলের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা স্লোগানে স্লোগানে তাদের স্বাগত জানায়।

এসময় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এ জেড এম জাহিদ হোসেন, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান, দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক নবী উল্লাহ নবী, দলের কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু, যুবদল সাধারণ সম্পাদক মোনায়েম মুন্না প্রমুখ উপস্থিত রয়েছেন।

এদিকে কারামুক্ত হয়েই দলের নেতাকর্মীদেরও অবিলম্বে মুক্তি দাবি করেছেন মির্জা ফখরুল।

কারাগার থেকে বেরিয়ে আসার সময় উপস্থিত সাংবাদিক ও দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আজ আমি বলি, আমাদের শত শত নেতাকর্মী এখনো কারাগারে আটক হয়ে আছেন। এবং দুঃখজনকভাবে তারা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। আমি অবিলম্বে আমাদের এই নেতাকর্মীদের মুক্তি দাবি করছি।

তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি জনগণের আন্দোলনের মধ্য দিয়েই এই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন সফল হবে।

গত ৮ ডিসেম্বর দিনগত রাতে নিজ বাসা থেকে ফখরুল ও আব্বাসকে আটক করে ডিবি পুলিশ। পরদিন ৯ ডিসেম্বর পুলিশের ওপর হামলার পরিকল্পনা ও উসকানি দেওয়ার অভিযোগে পল্টন থানায় করা মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে তোলা হয়। এরপর কয়েক দফায় তাদের জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন নিম্ন আদালত।

পরে গত ৩ জানুয়ারি হাইকোর্টের বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে ছয় মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দেন। গত ৮ জানুয়ারি প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ হাইকোর্টের দেওয়া জামিন আদেশ বহাল রাখেন। এরপরই বিএনপির এই দুই শীর্ষ নেতার কারামুক্তির বাধা কাটে।

গত ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশের স্থান নির্ধারণ নিয়ে উৎকণ্ঠা-উত্তেজনার মধ্যে ৭ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে জমায়েত হওয়া দলটির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এতে একজনের মৃত্যু ও শতাধিক লোক আহত হন।

বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে হাতবোমা ছোড়া হয়েছে অভিযোগ করে কার্যালয়ের ভেতরে অভিযান চালায় পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় কেন্দ্রীয় কয়েকজন নেতাসহ কয়েকশ নেতাকর্মীকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.