নওগাঁয় উত্তরা ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন, সিনিয়র রিপোর্টারঃ নওগাঁর মান্দার উত্তরা ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দেবব্রত চক্রবর্তী ঐ কলেজ এর উপাধ্যক্ষ মোঃ আব্দুল মজিদ কে সরিয়ে বিধিবহির্ভূত ভাবে পৌনে দু’ বছর যাবৎ অধ্যক্ষের দায়িত্বে থাকার অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও তিনি দায়িত্বে থাকাকালীন সময়ে জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা বহির্ভূত ভাবে অনার্স শাখায় সেমিস্টার সহকারী পদে ৮ জনকে নিয়োগ দিয়েছেন। এ নিয়ে শিক্ষা সংশ্লিষ্টদের মাঝে চলছে বিভিন্ন আলোচনা-সমালোচনা।
জানা যায়, ঐ কলেজ এর অর্থনীতি বিষয়ের সহকারী অধ্যাপক দেবব্রত চক্রবর্তী গত ২০২২ ইং সালের ১১ জুন দায়িত্ব নিয়ে এখন পর্যন্ত বিধিবহির্ভূত ভাবে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। সর্বশেষ গত ৫ ফেব্রুয়ারী জারী হওয়া ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ/প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দেওয়ার পরি-পত্রটিকেও তিনি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে চলছেন। এমনকি সর্বশেষ জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালায় পদ না থাকলেও তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর অবৈধভাবে অনার্সের ৮টি শাখায় সেমিনার সহকারী পদে ৮ জনকে নিয়োগ দিয়েছে। গত ২০২২ ইং সালের ৩১ অক্টোবর ইতিহাস ও ইসলামের ইতিহাস বিভাগের নিয়োগ প্রাপ্তরা যোগদান করেন এবং ওই বছরের ১৭ অক্টোবর অন্যান্যরা যোগদান করেন। নিয়োগ প্রাপ্তরা হলেন, বাংলা বিভাগে মোঃ কামরুল হাসান, ইসলামের ইতিহাস বিভাগে রবিউল ইসলাম, ইতিহাস বিভাগে সাগিরা খাতুন, রাস্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে মোঃ নুরুল আমিন, মনোবিজ্ঞান বিভাগে ইফতেখার হোসেন, ব্যবস্থাপনা বিভাগে রীনা খাতুন, সমাজ বিজ্ঞান বিভাগে আনোয়ার হোসেন ও ভূগোল বিভাগে মোস্তাফিজুর রহমান।
জানতে চাইলে কলেজ এর ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দেবব্রত চক্রবর্তী সংবাদকর্মীদের বলেন, আমি যখন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব নেই তখন কলেজের সিনিয়র ৫ জন শিক্ষকের মধ্যে একজন দায়িত্ব নেওয়ার নিয়ম ছিলো। বর্তমানে আমার কলেজে কোন গভর্নিং বডি নেই গভর্নিং বডি অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে। সেই বডি পাশ হয়ে আসলে তাদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবো। আপনার সময়ে ঐ কলেজে বিধিবহির্ভূত ভাবে ৮ জন সেমিস্টার সহকারী কিভাবে নিয়োগ দিলেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এমপিও নীতিমালায় পদগুলো না থাকলেও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিপত্র আছে। সেই পরিপত্রের ভিত্তিতে তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জারীকৃত সেই পরিপত্র চাইলে তিনি তা দেখাতে পারেননি।
জানতে চাইলে ঐ কলেজ এর উপাধ্যক্ষ মোঃ আব্দুল মজিদ বলেন, আমি ঐ কলেজ এর উপাধ্যক্ষ আমি আগে ঐ কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করে আসছি। কিন্তু হঠাৎ করে ততকালীন গভার্নিং বডির সভাপতি আমাকে বাদ দিয়ে আমার কলেজের অর্থনীতি বিষয়ে সহকারী অধ্যাপক দেবব্রত চক্রবর্তীকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দিয়েছেন। তখন থেকে তিনিই দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। সর্বশেষ পরিপত্র অনুযায়ী তিনি ওই পদে থাকতে পারেন না।
এবিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লায়লা আরজুমান বানু বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published.