মাগুরা শ্রীপুরে ইউপি চেয়ারম্যান বিরুদ্ধে এক ব্যক্তিকে দাঁত ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ

মাগুরা প্রতিনিধি, খন্দকার নজরুল ইসলাম মিলন : মাগুরা শ্রীপুর উপজেলার নাকোল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান‌ হুমাউনুর রশিদ মুহিতের বিরুদ্ধে নাকোল গ্রামের প্রতিপক্ষ মির্জা মিজানুর রহমান নওরোজকে পিটিয়ে দাঁত ভেঙে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
পূর্ব শক্রতার জের ধরে ০৯ এপ্রিল মঙ্গলবার রাত ৮.৩০ মিনিটের সময় চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে প্রতিপক্ষের মির্জা মিজানুর রহমান নওরোজকে পিটিয়ে দাঁত ভেঙে দিয়েছে বলে জানাগেছে।
স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়,শ্রীপুর উপজেলার নাকোল ইউনিয়নের সামাজিক ও রাজনৈতিক দলের নেতা মির্জা মিজানুর রহমান নওরোজ (৫২) দীর্ঘদিন ধরেই নাকোল ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান হুমাউনুর রশিদ মুহিতের প্রতিপক্ষ সামাজিক দল ও স্থানীয় রাজনীতি করে আসছে যার ফলে মুহিত চেয়ারম্যান ঐ ইউনিয়নের বিভিন্ন কাজ ও স্কুলের নিয়োগ দেওয়া নিয়ে নানা প্রতিবন্ধকতার শিকার হচ্ছিলো। আর এ কারনেই মুহিত চেয়ারম্যান ক্ষিপ্ত হয়ে লোকজন নিয়ে নিজেই নওরোজের উপর হামলা চালিয়েছে।
আহত মির্জা মিজানুর রহমান নওরোজ জানান,মঙ্গলবার রাত ৮,৩০ মিনিটের সময় তিনি নাকোল বাজার বটতলা কালী মন্দিরের সামনের মিষ্টির দোকানে বসে ছিলেন। এ সময় চেয়ারম্যান হুমাউনুর রশিদ মুহিত পিতা-মৃত রশিদ মোল্লা এর নেতৃত্বে দেশি অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে এরশাদ মোল্লা পিতা-সত্তার মোল্লা,হারুন শেখ পিতা মৃত আবু শেখ,টিপু, তুষার মোল্লা,শানু, হাসান শেখ,হোসেন শেখসহ ৯-১০ জন আমার উপর অতর্কিত হামলা চালায়।এসময় তারা আমার মুখের কয়েকটি দাঁত ভেঙে ফেলেছে ও আমাকে চরমভাবে পিটিয়ে আহত করেছে ।আমি অচেতন হয়ে গেলো স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে মাগুরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।
এ বিষয়ে শ্রীপুর থানায় মামলা দায়ের করতে গেলে শ্রীপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন, এক নং আসামি চেয়ারম্যান হুমাউনুর রশিদ মুহিত এর নাম কেটে আপনারা পুনরায় অভিযোগ লিখে নিয়ে আসেন তখন মামলা নেব । এভাবে সারা দিন গড়ি-মসি করে ১০ এপ্রিল সন্ধ্যায় এক নং আসামি চেয়ারম্যান মুহিতের নাম বাদে ৯ জনকে আসামি করে শ্রীপুর থানার মামলা নং ১৩ দায়ের করা হয়।
এ বিষয়ে শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ তাসমীম আলমের কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন এ বিষয়ে একটি মামলা হয়েছে ।তবে চেয়ারম্যান- হুমাউনুর রশিদ মুহিত এর বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ নাই। নাম কেটে দেয়ার বিষয়ে তিনি বলেন এটা বাদী পক্ষরা ভালো বলতে পারবেন বলে ব্যস্ততা দেখিয়ে ফোনটি কেটে দেন।
এ নিয়ে এলাকায় দুই দলের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এলাকাবাসী এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে অনতিবিলম্বে দোষীদের গ্রেফতারের দাবী জানিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published.