মোঃ আনিছুর রহমান, বেনাপোল প্রতিনিধিঃ পিতা হত্যার বিচারের দাবিতে হুমকির মুখে পড়েছে বেনাপোল পৌরসভার কাগমারি গ্রামের হোসেন আলী। গত দুই বছর আগে পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মগর আলী ও তার পোতা ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা করে একই গ্রামের হারুন গং। এ হত্যা কান্ডে ১০ জনকে আসামি করে মামলা করে মগর আলীর পুত্র হোসেন আলী।কিন্তু তদন্ত শেষে ওই মামলার ১০ জন আসামির মধ্যে ৬জনকে বাদ দিয়ে তদন্ত রিপোর্ট প্রদান করায় ক্ষোভ প্রকাশ করে হোসেন আলী।
১০ জন আসামির মধ্যে তদন্ত রিপোর্টে বাদ পড়েছে ৫ নং আসমি সাদেক হোসেন, ৬ নং আসামি জাহাঙীর ৭ নং আসমি শামছুর ৮ নং আসমি আব্বাস ৯ নং আসামি জুলূ ও ১০ নং আসামি জলিল মেকার।
বিগত দুই বছর যাবত মামলা ঢিলে ঢালা ভাবে চলে আসছে। আর এদিকে আসামি পক্ষ বাদি হোসেন আলীকে মামলা তুলে নেওয়ার হুমকি দিয়ে চলেছে। মামলা তুলে না নিলে তারা বাড়ি ঘর দখল করে নিবে। এবং তাকে ও পিতার মত একই পথে যেতে হবে বলে অভিযোগ ।
বাদি হোসেন আলী অভিযোগ করে বলেছেন সে বাড়ি থাকতে পারেনি। তাকে তার পিতার মত হত্যা করা হবে মামলা না তুললে। তাই সে জীবনের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে প্রায় দুই বছর। তাকে না পেলে সন্ত্রসী জাফর তাদের বাড়িতে গিয়ে ও হুমকি দিচ্ছে মামলা তুলে নেওয়ার। মামলা তুলে না নিলে হোসেন এর অবস্থাও তার পিতার মত হবে বলে হুমকি দিচ্ছে। এর মধ্যে জুলু দাড়িয়ে থেকে মগর আলী ও তার পিতাকে কুপিয়ে হত্যা করার হুকুম দিয়েছিল বলে হোসেন আলী অভিযোগ করেন।
উল্লেখ্য গত ১৬/০৪/২০২২ ইং তারিখে জমি জমা সংক্রান্ত বিষয়ে মগর আলীকে তার ভাইপো ধারালো চাকু দিয়ে খুচিয়ে খুচিয়ে এবং লাঠি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে। এসময় মগর আলীর পোতা ছেলে ইয়াসিন দাদাকে ঠেকাতে গেলে তাকেও কুপিয়ে জখম করা হয়। এরপর সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।