দিনাজপুর জেলা ফুলবাড়ী উপজেলার এলুয়াড়ী ইউনিয়নের লালদিঘীট আদিবাসী পাড়ায় দীর্ঘদিন থেকে আদিবাসী সম্প্রদায়ের মধ্যে এর উৎপত্তি

মোঃ নয়ন মিয়া দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধি : সেই গ্রামের আশে পাশে রয়েছে প্রচুর কাঁটা যুক্ত গ্রামের ভাষায় বাশের থোপ রয়েছে। এসব বাঁশের থোপে দীর্ঘ দিন ১২ থেকে ৪০ বছর পর ফুল আসে।

ফুল গুলো ধানের মত বীজের দৃশ্য। এই গ্রামের আদিবাসী সম্প্রদায় বংশ পরমপরায় সেই বীজ সংগ্রহ করে বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় এক ধরনের দানা বের করে যা দেখতে অবিকল চাউলের মতো।

দানা গুলো দিয়ে রান্না হচ্ছে ভাত,তৈরী হচ্ছে বিভিন্ন পায়েসসহ মুখ রোচক খাবার,আটা ও ছাতু।

এবিষয়ে আদিবাসী সম্প্রদায় বলছে যখন বেড়া বাঁশের মারা যাবার সময় হয় তখন ফুল আসে। ১২ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে একবার ফুল আসে। তাঁরা এসব বাঁশের ফুলের দানা দিয়ে নিয়মিত খাবার ছাড়াও বিয়ে পার্বণসহ বিভিন্ন আয়োজনে ব্যবহার করে আসছেন। কৃষি বিভাগ বলছে এটি ঔষুধি গুণাগুণ সম্পন্ন খাবার। এ বিষয়ে গবেষনায় পরবর্তীতে এর ব্যাপক ব্যবহার সম্পর্কে জানা যাবে।

তবে স্থানীয় আদিবাসীদের অভিযোগ, দিন দিন বেড়া বাঁশের উৎপাদন করে যাওয়ায় এর ফুলেরও উৎপাদন কমে গেছে। বেঁড়া বাঁশের উৎপাদন বাড়ানো গেলে ঐতিহ্যবাহী ব্যতিক্রমী এ খাদ্য পন্যের ব্যবহার বাড়বে।

আদিবাসি গ্রামের গৃহবধু মাইকো বাস্কে (৫৫) জানান,আমরা বাপ দাদার সময় থেকে এ চাউল খেয়ে আসছি। বাঁশের ফুল থেকে সংগ্রহ করি। এরপর বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় চাউল আটা করে খাই। অতীতে বিয়েসহ বিভিন্ন আয়োজনে এ বাঁশের ফুলের চাল ব্যবহার করা হতো।

 

গ্রামের এক গৃহবধু রোজিনা বাস্কে (৫৫) বলেন,এগুলো বেড়া বাঁশের ফল। স্বাধীনতার পরে একবার খেয়েছি। এবছর আবারও খেলাম।

 

গ্রামের দিনমজুর যোশেফ মুর্মু (৬৫) বলেন,আমার মায়ের বিয়ে এই চাউল দিয়ে হয়েছে বলে শুনেছি। আমাদের গ্রামে বহুবছর থেকে এর ব্যবহার হয়ে আসছে। আমাদের ব্যবহার দেখে আশে পাশের অনেকেই এর ব্যবহার করছে।

ফুলবাড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রুম্মান আক্তার,এলুয়ারী ইউনিয়নের আদিবাসী সম্প্রদায়ের মধ্যে বাঁশের ফুল থেকে দানা সংগ্রহ করে খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করছে। যা ঔষুধি গুণাগুণ সম্পন্ন।

Leave a Reply

Your email address will not be published.