বেনাপোল চেকপোষ্ট কাস্টমস সুপার মোখলেছ এর নেতৃত্বে দালাল মুক্ত: পাসপোর্টযাত্রী সেবার মানবৃদ্ধি

মোঃ আনিছুর রহমান, বেনাপোল প্রতিনিধিঃ বেনাপোল চেকপোষ্ট কাস্টমস যখন সরকারের রাজস্ব আয় বৃদ্ধি ল্যাগেজ বহির্ভুত পণ্য আটক, পাসপোর্টযাত্রীদের সেবার মান বৃদ্ধি বহিরাগত প্রবেশ বন্ধ তখন  স্বার্থম্বেসী একটি মহল বেপরোয়া হয়ে উঠে মিথ্যা ভুয়া তথ্য সরবরাহ করার অভিযোগ উঠেছে। চেকপোষ্ট কাস্টমস রেভিনিউ অফিসার মোখলেছুর রহমান এসব কাজে তৎপরাতা এনে ঘুষ দুর্নীতি এবং দালাল মুক্ত পরিবেশ করে কাজ করছেন তখন একটি স্বার্থম্বেসী মহল ওই সুপার এর বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রনীত সংবাদ পরিবেশন করে কাজের উৎসাহ হৃাস করাচ্ছে বলে অভিযোগ করছে।

প্রাপ্ত তথ্য সুত্রে এবং সরেজমিনে জানা  গেছে ইতিপুর্বে  বেনাপোল চেকপোষ্টে কাস্টমস এবং ইমিগ্রেশনে এক শ্রেনীর বহিরাগত লোক প্রবেশ করে নানা ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে যাত্রীদের নিকট থেকে অর্থ হাতিয়ে নিত। এসকল অপকর্ম চেকপোষ্টে দায়িত্বরত রেভিনিউ অফিসার (আর ও) মোখলেছুর রহমান রোধ করেন। তিনি কাস্টমস এর সিপাই, এ আরওদের কঠোর নির্দেশনা দেন যেন বহিরাগত কোন লোক কাস্টমসে প্রবেশ করতে না পারে। তারা এখানে প্রবেশ করলে দেশী বিদেশী পর্যটকদের চোখে পড়বে এবং দেশের ভাবমুর্তি নষ্ট হবে। সেই থেকে চেকপোস্ট কাস্টমস এর সকল সদস্য কড়াকড়ি আরোপ করায় বহিরাগত মুক্ত হয়। বাড়ে যাত্রী সেবার মান, এবং রাজস্ব আয়।

ওই সকল বহিরাগত দালাল কাস্টমস বাউন্ডারীতে প্রবেশ করতে না পেরে তারা আরও মোখলেছুর রহমান এর নামে মিথ্যা তথ্য সরবরাহ করে স্থানীয় কিছু পত্রিকার কাছে। ওই পত্রিকার স্থানীয় প্রতিনিধি ওই পত্রিকার মনগড়া প্রকাশিত  সকল সংবাদ এর কোন তথ্য জানে না এবং এটাকে মিথ্যা বানোয়াট এবং উদ্দেশ্যপ্রনীত বলে মন্তব্য করে। স্থানীয় প্রতিনিধি বলেন বর্তমান বেনাপোল চেকপোষ্ট কাস্টমস দালল মুক্ত করায় যাত্রী সেবার মান বেড়েছে। সেই সাথে যাত্রী সংখ্যা আগের চেয়ে এ পথে বেশী যাতায়াত করছে। তিনি বলেন এই পত্রিকায় শুধা একের পর এক সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। এখানে এরকম কোন দুর্নীতি হলে আরও অন্য পত্রিকায়ও প্রকাশ হওয়ার কথা। তাছাড়া বেনাপোল চেকপোষ্ট এলাকায় সকাল দেখে দেশের বড় বড় সংবাদ পত্রের সাংবাদিকদেরও দেখা যায় । অন্য কোন পত্রিকায় এধরনের কোন সংবাদ প্রকাশও হতে দেখা যায়নি।

চেকপোষ্ট কাস্টমস সুপার মোখলেছুর রহমান বলেন, আমি স্বচ্ছতা ও জবাবদিহীতার মধ্যে কাজ করছি। এখানে সরকারের রাজস্ব আয় যাতে আরও বেশী আহরন হয় সেই লক্ষে কাজ করে যাচ্ছি। তিনি বলেন এই পথে আগে ৪/৫ হাজার যাত্রী আসা যাওয়া করত তাদের সেবার মান বেড়ে এখন প্রায় ১০ হাজার লোক প্রতিদিন যাতায়াত করছে। সেই সাথে সরকারের রাজস্ব আয় ও বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া যারা ভারতে গমন করে অতিরিক্ত পণ্য নিয়ে আসে তাদের ল্যাগেজ সুবিধা দিয়ে বাকি পণ্য শুল্কের আওতায় এনে ও সরকারের রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পেয়েছে। এসব কারনে বহিরাগতরা হয়ত কোন সুযোগ সুবিধা করতে না পেরে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য সরবরাহ করছে। এতে আমি বিচলতি নই। কারন এখানে কি হচ্ছে তা দেখার জন্য সিসি ক্যামেরা সহ কাস্টমস গোয়েন্দা সহ সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার লোক রয়েছে। আমি শুধু অনুরোধ করব সংবাদ পত্র থেকে মানুষ সত্য ঘটনা আশা করে । তাই সংবাদ পত্রের উচিৎ সকল ঘটনা দেখে শুনে যাচাই বাছাই করে সত্য ঘটনা প্রকাশ করা।

Leave a Reply

Your email address will not be published.