ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় পঙ্গু হতে চলেছে সিজারের রোগী শিল্পী

মোহাম্মদ আককাস আলী প্রতিনিধি মহাদেবপুর : নওগাঁর পত্নীতলায় হলি ডায়াগনষ্টিক সেন্টার ও হাসপাতাতে সিজার করার পর থেকে শিল্পী ৬ মাস যাবত পঙ্গু হয়ে বিছানায় কাতরাচ্ছে। ডাক্তারের ভুল চিকিৎসা কারণে শিল্পীর দুই-পা পঙ্গু হতে চলেছে ও দীর্ঘ দিন ধরে মানবতার সাথে জীবন করছে।
রোগীর বাসায় গেলে হলি ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের আয়া সাইরা সংবাদকর্মীদের সাথে খারাপ আচরণ করে ও রোগীকে হুমকি ধুমকি দিয়ে বলে তুই সাংবাদিকদের বাসায় নিয়ে এসেছিস তোর ব্যবস্থা আমি করব আমি দেখব, তোকে কে বাঁচাতে আসে আর সাংবাদিক তোকে কি করে বাঁচায়, রোগীর দুই ভাইকে ধমক দিয়ে বলে পুলিশ ও র‍্যাব দিয়ে আমি বাসা থেকে উঠিয়ে নিয়ে যাব। দেখব তোদের, কে বাঁচাতে আসে এইসব বলে তিনি সেখান থেকে চলে যান।
(৩০শে মার্চ) পত্নীতলা উপজেলার আকবরপুর ইউনিয়নের গোয়াল গ্রামের শিল্পী কে সিজার করানো হয় হলি হাসপাতালে (৪ এপ্রিল) ছাড়পত্র দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়। নজিপুর হলি হাসপাতালে, ডাক্তার দেওয়ান সবুর এর নেতৃত্বে সিজার সম্পন্ন হয় ও অ্যানেসথেসিয়া করেন ডাক্তার বাচ্চু। সিজার করার পর থেকে হাঁটাচলাফেরা একেবারের জন্য বন্ধ হয়ে যায়, তবে সিজার করার আগ পর্যন্ত রোগী সুস্থ ও স্বাভাবিক ছিলেন।
রোগীর স্বজনরা বলেন উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহীতে নিয়ে যাওয়া হলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক মনজুরুল হক বলেন, অ্যানেসথেসিয়া রোগে না করে মাংসই করেছে এর ফলে রোগীর দুই পা পঙ্গু হতে চলেছে। তবে চিকিৎসক জানান উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থা করতে পারলে রোগী স্বাভাবিক জীবন যাপনে আবার ফিরতে পারবে, তবে এই চিকিৎসা অনেক ব্যয়বহুল যা করানোর মত সক্ষমতা শিল্পীর পরিবারের পক্ষে সম্ভব নয়, শিল্পীর বড় বোন বলেন ডাক্তারের অবহেলা ও ভুল চিকিৎসার কারণে আমার বোনের যে করুন অবস্থা হয়েছে। আমি চাইনা আমাদের মত কেউ ভুক্তভোগী হোক। তাই ডাক্তার সবুর ও ডাক্তার বাচ্চু কে আইনের আওতায় এনে অপরাধের শাস্তি দেওয়া হোক। পরবর্তীতে সংবাদকর্মী আসার খবর পেয়ে হাসপাতাল ছেড়ে পালিয়ে চলে যায় ডাক্তার ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

Leave a Reply

Your email address will not be published.