বেনাপোলে এস এ পরিবহন নামে একটি কুরিয়ার এর মাধ্যেমে চোরাচালানি পণ্য পাচার

মোঃ আনিছুর রহমান, বেনাপোল প্রতিনিধি: বেনাপোল থেকে এস এ পরিবহন নামে একটি কুরিয়ার সার্ভিস এর মাধ্যেমে সরাসরি চোরাচালানি পণ্য পাচার হওয়ার সত্যতা পাওয়া গেছে। প্রশাসনের নাকের ডগায় এবং কিছু অসাধু প্রশাসনের সহযোগিতায় এ পণ্য পাচার হয়ে থাকে বলে গুঞ্জন রয়েছে। আর এর সাথে সরাসারি জড়িত এস এ পরিবহন এর বেনাপোল শাখার ম্যানেজার আবুল  বাশার । সোমবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে ওই পরিবহনের অফিস থেকে গাড়িতে ভারতীয় কসমেটেক্স পণ্য উঠানোর সময় বিজিবি একটি  চালান আটক করে ক্যাম্পে নিয়ে যায়। সেখানে ৩০০ পিছ ফেসওয়াস ছিল বলে জানা যায়। তবে বিজিবি সদস্যরা পণ্য বোঝাই গাড়িটি তল্লাশি করে নাই।

বেনাপোল থেকে প্রতিদিন ভারত থেকে আসা কসমেটিক্স পণ্য, মোবাইল, শাড়ী থ্রি-পিছ সহ নানা ধরনের পণ্য এস এ পরিবহনের মাধ্যেমে রাজধানী ঢাকা সহ দেশের প্রত্যান্ত অঞ্চলে পাচার হয়ে থাকে। মাঝে মাঝে দুই একটি চালান বিজিবি সদস্যদের আটক করতে দেখা গেলেও বড় অংশ পাচার হয়ে যায়।

আটককৃত কসমেটিক্স পণ্যর মালিক বলেন, আমি পাসপোর্ট এর ছবি দিয়ে এস এ পরিবহনে মাল বুক করেছি। এসময় এর বৈধতা ও তার নাম জানতে চাইলে সে বলে আপনারা বসেন আমি এসে সব বলছি। এরপর আর তাকে পাওয়া যায়নি।

এস এ পরিবহন এর বেনাপোল শাখার ম্যানেজার আবুল বাশার বলেন, আমরা পাসপোর্ট ট্রেড লাইসেন্স ও দোকানের চালান নিয়ে এসব পণ্য বুক করে থাকি। এসব চোরাচালানি পণ্য কেন বুক করেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখান থেকে আমাদের যে গাড়ি ছেড়ে যায় এসব পণ্য না নিলে গাড়ি লোকসানে পড়বে।  এছাড়া কিছুদিন পাসপোর্ট যাত্রীদের পণ্য আসা বন্ধ থাকায় মানুষও বেকার হয়ে পড়ে। আমরা তখন কাস্টমস এর সাথে কথা বলেছি যে যাত্রীদের সুযোগ সুবিধা দেন তানাহলে যাত্রী শুন্যের কোঠায় চলে আসবে। আপনি কেন বলেছেন আপনার লাভ কি? বাশার বলেন, আমাদের গাড়ি খরছ উঠে আসে আর বেকাররা ও ভালো থাকে। আপনি সরাসরি চোরাচালানীদের সহযোগিতা করছেন এ প্রশ্নে তিনি বলেন হ্যাঁ আমি দায় এড়াতে পারি না।

স্থানীয় একটি সুত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন এই পরিবহনের মাধ্যেমে মদ গাজাও ফেনসিডিলও পাচার হয়ে থাকে। এখানে একটি ফটোকপি দোকানদার প্রশাসন এর লোকদের ম্যানেজ করে। এছাড়া ঢাকা চট্রগ্রাম থেকে স্বর্ণের চালানও এই পরিবহনের মাধ্যেমে বেনাপোল আসে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.