কালের সংবাদ ডেস্কঃ সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ২০৪১ সালের আগেই বাংলাদেশ বাল্যবিয়ে মুক্ত হবে বলে জানিয়েছেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা।
বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) রাজধানীর একটি হোটেলে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়, ইউএনএফপিএ, ইউনিসেফ ও লন্ডন স্কুল অফ হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিক্যাল মেডিসিনের যৌথ আয়োজনে `National Plan of Action to End Child Marriage: Lessons and way for implementation’ শীর্ষক ওয়ার্কশপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাল্যবিয়ের ফলে মেয়েরা শিক্ষাগ্রহণ করতে ও আর্থিক কাজে জড়িত হতে পারে না। তারা অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হতে পারে না। আর্থিক ক্ষমতায়নের অভাবে তারা সহিংসতার স্বীকার হয়। বাল্যবিয়ে বৈশ্বিক সমস্যা। বাল্যবিয়ের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে সম্মিলিত কার্যক্রমের মাধ্যমে বাল্যবিয়ে এখনই বন্ধ করতে হবে। এর সঙ্গে মা ও শিশুস্বাস্থ্য এবং নিরাপদ মাতৃত্ব সম্পর্কিত। ১৮ বছরের পূর্বে সন্তান ধারণের ক্ষেত্রে মা ও শিশুর মৃত্যুহার অনেক বেশি। কারণ ১৮ বছরের পূর্বে মেয়েরা সন্তান ধারণের জন্য মানসিক ও শারীরিকভাবে পূর্ণতা অর্জন করে না।
তিনি বলেন, বাল্যবিয়ে আইন সংশোধন, জাতীয় কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন, সচেতনতামূলক কার্যক্রম এবং নারী ও কন্যাশিশুর কল্যাণে বিভিন্ন সরকারি উদ্যোগের ফলে সমাজের ইতিবাচক পরিবর্তনের মাধ্যমে বাল্যবিয়ের হার দ্রুত কমেছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, কন্যাশিশুর শিক্ষা, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও ক্ষমতায়নের মাধ্যমে উন্নয়নের সব ক্ষেত্রে নারীর সমঅধিকার নিশ্চিত হবে। নারী-পুরুষের সমতার পরিবেশ গড়ে উঠবে। কন্যাশিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সুরক্ষা ও অধিকার নিশ্চিত করার মাধ্যমে গড়ে তুলতে হবে। তাহলে কন্যাশিশুরা রাষ্ট্রের সম্পদে পরিণত হয়ে জাতীয় উন্নয়নে অবদান রাখতে পারবে। এভাবেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ২০৩০ সালের মধ্যমে কর্মস্থলে ৫০:৫০ অর্জিত হবে।
মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হাসানুজ্জামান কল্লোলের সভাপতিত্বে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফরিদা পারভীন, ইউনিসেফ রিপ্রেজেন্টেটিভ শেল্ডন ইয়েট (Sheldon Yet), ইউএনএফপি রিপ্রেজেন্টেটিভ ক্রিস্টিন ব্লোকাউস (Kristine Blokhus) ও লন্ডন স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিনের মেলিসা নৈইমেন (Melissa Neuman) কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন।
বাল্যবিয়ে বন্ধে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা (২০১৮-২০৩০) কর্মপরিকল্পনায় মোট ২৩৫টি কার্যক্রম অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। যার মধ্যে স্বল্পমেয়াদি ১৭২টি, মধ্যমেয়াদি ৩৩টি এবং দীর্ঘমেয়াদি কার্যক্রম ৩০টি। এখানে ২৪টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ, উন্নয়ন সহযোগী, এনজিও এবং আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধি রয়েছে। উদ্বোধন পর্ব শেষে লন্ডন স্কুল অফ হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিক্যাল মেডিসিন টেকনিক্যাল ওয়ার্কিং সেশন অনুষ্ঠিত হয়।