মোহাম্মদ আককাস আলী প্রতিনিধি মহাদেবপুর : বরেন্দ্র অঞ্চলে সবজি চাষে ব্যস্ত চাষীরা দাম ভালো পেয়ে খুব খুশি তারা। চলতি মৌসুমে কয়েক হাজার হেক্টর জমিতে বিভিন্ন সবজি চাষ হচ্ছে, যার মধ্যে মুলা, টমেটো, কপি ও শিম উল্লেখযোগ্য। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চাষিরা সফলভাবে ফসল উৎপাদন করছেন। নতুন সবজির বাজারে ভালো দাম পাওয়ায় কৃষকরা চাষাবাদে আরও আগ্রহী হচ্ছেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর আশা করছে, চলতি মৌসুমে প্রায় ৬০ লাখ টন সবজি উৎপাদিত হবে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর আরো জানান, চলতি মৌসুমে জেলায় প্রায় ৩০ হাজার হেক্টর জমিতে আগাম শীতকালীন সবজি চাষাবাদ হচ্ছে। ভরা মৌসুমের আগে দুই থেকে তিন দফায় উৎপাদন ও সরবরাহ হবে। আবহাওয়া ভালো থাকায় চাষিরা নির্বিঘ্নে ফসল চাষ করছেন।
এলাকার মাঠগুলোতে দিনভর চাষিদের ব্যস্ততা লক্ষ্য করা গেছে। মুলা, শিম, বেগুন, ফুলকপি, বাঁধাকপি,পালং শাক, টমেটোসহ নানা ধরনের আগাম শীতকালীন সবজি চাষ হচ্ছে। জমি প্রস্তুত, বীজ বপন, সার-বালাইনাশক প্রয়োগ, চারার পরিচর্যা ও নতুন ফলন তুলে বাজারে সরবরাহ করছেন চাষিরা।
দাম ভালো পাওয়ায় প্রায় সব কৃষকই শীতকালীন চাষাবাদে ঝুঁকছেন।
বিভিন্ন বাজারে তথ্য অনুসন্ধানে জানাযায়,মুলা ৫০টাকা থেকে ৬০ টাকা কেজি, আগাম জাতের ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৮০টাকা থেকে ১০০টাকা, শিম ১৮০ টাকা কেজি থেকে ২০০ টাকা,পালং শাক ১০০টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
শীতের শুরু থেকে একই জমি ব্যবহার করে শীত মৌসুমে ৩ থেকে ৪টি ফসল উৎপাদন করেন চাষিরা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আবুল কালাম আজাদ জানান, চলতি মৌসুমে জেলায় প্রায় ৬০ লাখ টন আগাম শীতকালীন সবজি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। আবহাওয়া ও বাজারে সবজির ভালো দাম পাওয়ায় চাষিরা উৎপাদনে আগ্রহী হচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘ধান ও আমের পর নওগাঁয় সবজি উৎপাদনে এগিয়ে রয়েছে। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে উৎপাদিত ফলন ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হয়। চলতি মৌসুমে সময় উপযোগী চাষাবাদে কৃষিবিষয়ক পরামর্শ ও সহযোগিতা দিয়ে চাষিদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।