মোঃ মোকাররম হোসাইন জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধি: জয়পুরহাটের কালাইয়ে অবৈধভাবে সরকারি জমি ও পুকুর দখলে নিয়ে ভরাট এবং নিজের পুকুর সম্প্রসারণ করাসহ নানাভাবে ভোগদখলের অভিযোগ উঠেছে একই গ্রামের দুইজনের বিরুদ্ধে। কালাই উপজেলার জিন্দারপুর ইউনিয়নের বাদাউচ্চ গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
সরেজমিনে কালাই উপজেলার বাদাউচ্চ গ্রামের বাসিন্দা হেনা, মোমিন, ইব্রাহিমসহ ১৪-১৫ জনের সাথে কথা হয়। তাদের অভিযোগ, ওই গ্রামের পূর্ব পাশে অবস্থিত সরকারি ইসলাম পুকুর’টির পশ্চিম দিকের প্রায় ১০ শতক জায়গায় অবৈধভাবে নিজের পুকুরের সাথে পাড় বেঁধে দখলে নিচ্ছেন একই গ্রামের আব্দুল গণি নামের একজন ব্যক্তি।
শুধু তাই নয় প্রায় দুই বছর আগে গনি গ্রামের প্রভাবশালী মেম্বার আওয়ামী লীগ নেতা শহিদুল ইসলাম পরামর্শে তার নিজ পুকুর খনন কাজের জন্য ওই এলাকার চাষাবাদের জমির ফসলের পানি নিষ্কাশনের জন্য সরকারি একটি কালভার্ট বন্ধ করে দেয়। অন্যদিকে সরকারি পুকুরের উত্তর দিকের প্রায় ৮ শতক জায়গায় পাড় বেঁধে দখলে নিয়ে চাষাবাদ করছেন একই গ্রামের আব্দুল গফুর নামের আরেকজন ব্যক্তি।
আব্দুল গফুর জানান, তিনি সরকারি খাস পুকুরের কোন জমি নেন নাই বরং তার জমি পুকুরের মধ্যে প্রবেশ করেছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আব্দুল গণি জানান, তাদের গ্রামের মেম্বার আওয়ামী লীগ নেতা শহিদুল ইসলামসহ উঠতি বয়সী কিছু ছেলে তাকে ‘ইসলাম পুকুর’টির পাড় যতটা সম্ভব হয় সোজাসোজি বেঁধে ভরাট করে নিতে বলেছেন। তাই তিনি এস্কেভেটর মেশিন (ভেকু) দিয়ে মাটি কেটে পাড় ভরাট করছেন।
এ জন্য সরকারের কোন দপ্তর থেকে তিনি অনুমতি নিয়েছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি জানান, সরকারি জায়গা দখল নিতে কেবল তিনিই নয়, একই গ্রামের আব্দুল গফুর, মেম্বার শহিদুল ইসলামসহ কেউই কোন সরকারি কর্মকর্তার অনুমতি নেননি। এমনকি এ জন্য তারা সরকারি কোন কর্মকর্তাকে অবগতও করেননি।
তবে তার দাবি, তিনি যে কাজ করছেন তাতে তারও উপকার হচ্ছে; সরকারেরও উপকার হবে।
প্রভাবশালী মেম্বার আওয়ামী লীগ নেতা শহিদুল ইসলাম জানান, সে গনিকে কোন অনুমতি দেন নাই, তাকে প্রশাসনকে জানিয়ে কাছ করতে বলেছেন।
এ বিষয়ে কালাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামিমা আক্তার জাহান বলেন, সরকারি অনুমতি ছাড়া সরকারি পুকুরসহ যে কোন জায়গা খনন বা ভোগ-দখলের সুযোগ নেই। উপজেলার বাদাউচ্চ গ্রামে সরকারি জায়গা দখলে নেওয়ার খবর পেয়ে তদন্তের জন্য আজ লোক পাঠানো হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।