তছলিম উদ্দীন, সাপাহার (নওগাঁ) প্রতিনিধি: নওগাঁর সাপাহারে সন্ধ্যাবেলায় রাস্তায় এক দুর্ধর্ষ্য রোড ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে সে সাথে গ্রামবাসী ৪ জন ছিনতাইকারীকে হাতে নাতে ধরে পুলিশে সোপর্দ করেছে। গতকাল রবিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে সাপাহার উপজেলার বাহাপুর-পিছলডাঙ্গা গ্রামীন জনপদের রাস্তায় ছিনতাইয়ের ঘটনাটি ঘটেছে।
ছিনতাইয়ের কবলে পড়া প্রতক্ষাদর্শি মারফত জানা গেছে ঘটনার দিন সন্ধ্যাবেলায় পিছলডাঙ্গা,ধবলডাঙ্গা, মধ্যপাড়া শাহাবাজপুর এলাকার বিভিন্ন পথচারি ওই রাস্তাদিয়ে সাপাহার সদর হতে বাসায় ফিরছিলেন। অনুমান সন্ধ্যা ৭টা থেকে সাড়ে ৭টার মধ্যে পথচারীরা বাহাপুর-পিছলডাঙ্গা রাস্তার সাতাশিডাঙ্গা নামক এলাকায় পৌঁছিলে হঠাৎ ১৫,২০জনের একটি ছিনতাইকারীর দল হাসুয়া ও লাঠিসোটা হতে রাস্তায় গাছ কেটে বেরিকেট দিয়ে কিছু পথচারীর পথ রোধ করে প্রত্যেকের নিকট থেকে ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও নগদ অর্থ লুটপাট করে নিয়ে রাস্তার পাশের্^ আমবাগানের মধ্যে একটি ঘরে তাদের আটকিয়ে রেখে পরবর্তী পথচারীদের পথ রোধ করে একই কায়দায় ১০/১৫জনের মোবাইল ও অর্থ সহ প্রায় লক্ষাধিক টাকা ছিনতাই করে নেয় এভাবে প্রায় ঘন্টাকাল ব্যাপী রাস্তায় বেরিকেট দিয়ে সকল পথচারীদের ওই ঘরের মধ্যে আটকিয়ে রাখে। এরই মধ্যে পার্শে¦র গ্রাম হতে লোকজনের আওয়াজ পেয়ে ছিনতাই কারীগন ঘটনাস্থল হতে সরে পড়তে গিয়ে অন্যান্যরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও পতœীতলা উপজেলার দিবর ঘুড়িয়া পাড়ার রাম কমল রায়ের ছেলে শ্রী মিলন রায় (২৬), দিবর বাজারি পাড়ার বদির উদ্দীনের ছেলে ফারুক হোসেন (২৮), উপজেলার খোট্রাপাড়ার গোলে রহমানের ছেলে মোহামমাদ উম্মেদ (২৪), ও মোহাম্মাদ মোশারফ হোসেন এর ছেলে মাসুম(২৪), চারজন গ্রামবাসীদের হতে ধরা পড়ে। গ্রামবাসী স্থানীয় থানায় সংবাদ দিলে রাত্রি সাড়ে ১০টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গ্রামবাসীদের নিকট হতে ছিনতাইকারী চারজনকে থানা হেফাজতে নিয়ে আসে। এবিষয়ে গ্রামবাসীর মধ্য থেকে কোন বাদী মামলা দায়ের করতে না আসায় ধৃত আসামীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে সাপাহার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল মালেক জানান। তবে ছিনতাইকারীরা বলছিল আমরা সাধারণ পথচারীদের নিকট থেকে ছিনতাই করতে আসেনি তোমাদের মোটর সাইকেল আমরা নিবনা আমরা একজনের টার্গেটে এসেছি তাকে পেলেই তোমাদেরকে ছেড়ে দিব বলে পত্যক্ষদর্শিরা জানান । ছিনতাইকারীদের ছিনতাইয়ের আসল উদ্দেশ্য নয় তারা অন্যকোন গভির ষড়যন্ত্রে ওই রাস্তায় বেরিকেট দিয়েছিল বলেও পুলিশ মনে করছে বলেও ওসি আব্দুল মালেক জানান।